অধ্যায়

  1. 1
  2. 2
  3. 3
  4. 4
  5. 5

ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

১ ইউহোন্না 4 Kitabul Mukkadas (MBCL)

আল্লাহ্‌র রূহ্‌কে চিনে নেবার উপায়

1. প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব রূহ্‌কে বিশ্বাস কোরো না, বরং যাচাই করে দেখ তারা আল্লাহ্‌ থেকে এসেছে কি না, কারণ দুনিয়াতে অনেক ভণ্ড নবী বের হয়েছে।

2. আল্লাহ্‌র রূহ্‌কে তোমরা এই উপায়ে চিনতে পারবে- যে রূহ্‌ স্বীকার করে ঈসা মসীহ্‌ মানুষ হয়ে এসেছিলেন সেই রূহ্‌ই আল্লাহ্‌ থেকে এসেছেন;

3. কিন্তু যে রূহ্‌ এই ঈসাকে অস্বীকার করে সেই রূহ্‌ আল্লাহ্‌ থেকে আসে নি। এ সেই দজ্জালের রূহ্‌। সেই রূহ্‌ যে আসছে তা তো তোমরা শুনেছ, আর আসলে সেই রূহ্‌ এখনই দুনিয়াতে আছে।

4. কিন্তু সন্তানেরা, তোমরা আল্লাহ্‌র। তোমরা সেই ভণ্ডদের উপর জয়ী হয়েছ, কারণ এই দুনিয়াতে যে আছে, তার চেয়ে যিনি তোমাদের অন্তরে আছেন তিনি মহান।

5. সেই ভণ্ডেরা এই দুনিয়ার; সেইজন্য তারা এই দুনিয়ার কথা বলে এবং দুনিয়া তাদের কথা শোনে।

6. আমরা আল্লাহ্‌র; যে আল্লাহ্‌কে জানে সে আমাদের কথা শোনে, কিন্তু যে আল্লাহ্‌র নয় সে আমাদের কথা শোনে না। এর দ্বারাই আমরা সত্যের রূহ্‌ ও ছলনার রূহ্‌কে চিনতে পারি।

আল্লাহ্‌ নিজেই মহব্বত

7. প্রিয় সন্তানেরা, আমরা যেন একে অন্যকে মহব্বত করি, কারণ মহব্বত আল্লাহ্‌র কাছ থেকেই আসে। যাদের অন্তরে মহব্বত আছে, আল্লাহ্‌ থেকেই তাদের জন্ম হয়েছে এবং তারা আল্লাহ্‌কে জানে।

8. যাদের অন্তরে মহব্বত নেই তারা আল্লাহ্‌কে জানে না, কারণ আল্লাহ্‌ নিজেই মহব্বত।

9. আমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র মহব্বত এইভাবে প্রকাশিত হয়েছে- তিনি তাঁর একমাত্র পুত্রকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন যেন আমরা তাঁর মধ্য দিয়ে জীবন পাই।

10. আমরা যে আল্লাহ্‌কে মহব্বত করেছিলাম তা নয়, কিন্তু তিনি আমাদের মহব্বত করে তাঁর পুত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যেন পুত্র তাঁর নিজের জীবন্তকোরবানীর দ্বারা আমাদের গুনাহ্‌ দূর করে আল্লাহ্‌কে সন্তুষ্ট করেন। এটাই হল মহব্বত।

11. প্রিয় সন্তানেরা, আল্লাহ্‌ যখন এইভাবে আমাদের মহব্বত করেছেন তখন আমাদেরও একে অন্যকে মহব্বত করা উচিত।

12. কেউ কখনও আল্লাহ্‌কে দেখে নি। যদি আমরা একে অন্যকে মহব্বত করি তাহলে বুঝা যাবে যে, আল্লাহ্‌ আমাদের অন্তরে আছেন এবং তাঁর মহব্বত আমাদের অন্তরে পুরোপুরি ভাবে কাজ করছে।

13. তাঁর রূহ্‌ তিনি আমাদের দান করেছেন, আর এতেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর মধ্যে আছি আর তিনিও আমাদের অন্তরে আছেন।

14. আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পিতা পুত্রকে মানুষের নাজাতদাতা হিসাবে পাঠিয়েছিলেন।

15. যে কেউ স্বীকার করে ঈসা ইব্‌নুল্লাহ্‌, আল্লাহ্‌ তার মধ্যে থাকেন এবং সেও আল্লাহ্‌র মধ্যে থাকে।

16. আমরা জানি আল্লাহ্‌ আমাদের মহব্বত করেন, আর তাঁর মহব্বতের উপর আমাদের বিশ্বাস আছে।আল্লাহ্‌ নিজেই মহব্বত। মহব্বতের মধ্যে যে থাকে সে আল্লাহ্‌র মধ্যেই থাকে এবং আল্লাহ্‌ তার মধ্যে থাকেন।

17. এইভাবেই মহব্বত আমাদের অন্তরে পূর্ণতা লাভ করে, যেন রোজ হাশরে আমরা সাহস পাই, কারণ এই দুনিয়াতে আমাদের জীবন তাঁরই জীবনের মত।

18. এই মহব্বতের মধ্যে ভয় নেই, বরং পরিপূর্ণ মহব্বত ভয়কে দূর করে দেয়, কারণ ভয়ের সংগে শাস্তির চিন্তা জড়ানো থাকে। যে ভয় করে সে মহব্বতে পূর্ণতা লাভ করে নি।

19. তিনি আমাদের প্রথমে মহব্বত করেছিলেন বলেই আমরা মহব্বত করি।

20. যে বলে সে আল্লাহ্‌কে মহব্বত করে অথচ তার ভাইকে ঘৃণা করে সে মিথ্যাবাদী; কারণ চোখে দেখা ভাইকে যে মহব্বত করে না সে অদেখা আল্লাহ্‌কে কেমন করে মহব্বত করতে পারে?

21. আমরা তাঁর কাছ থেকে এই হুকুম পেয়েছি যে, আল্লাহ্‌কে যারা মহব্বত করে তারা যেন ভাইকেও মহব্বত করে।