ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

লূক 9:30-49 Kitabul Mukkadas (MBCL)

30. আর দু’জন লোককে তাঁর সংগে কথা বলতে দেখা গেল। সেই দু’জন ছিলেন নবী মূসা এবং নবী ইলিয়াস।

31. তাঁরা মহিমার সংগে দেখা দিলেন। জেরুজালেমে যে মৃত্যুর সামনে ঈসা উপস্থিত হতে যাচ্ছিলেন তাঁরা সেই বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন।

32. পিতর ও তাঁর সংগীরা সেই সময় অঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁরা জেগে উঠে ঈসার মহিমা দেখতে পেলেন এবং তাঁর সংগে দাঁড়ানো সেই দু’জন লোককেও দেখলেন।

33. সেই দু’জন যখন ঈসার কাছ থেকে চলে যাচ্ছিলেন তখন পিতর ঈসাকে বললেন, “হুজুর, ভালই হয়েছে যে, আমরা এখানে আছি। আমরা এখানে তিনটা কুঁড়ে-ঘর তৈরী করি- একটা আপনার, একটা মূসার ও একটা ইলিয়াসের জন্য।” তিনি যে কি বলছিলেন তা নিজেই বুঝলেন না।

34. পিতর যখন কথা বলছিলেন তখন একটা মেঘ এসে তাঁদের ঢেকে ফেলল। তাঁরা সেই মেঘের মধ্যে ঢাকা পড়লে পর সাহাবীরা ভয় পেলেন।

35. সেই মেঘ থেকে এই কথা শোনা গেল, “ইনিই আমার পুত্র যাঁকে আমি বেছে নিয়েছি; তোমরা এঁর কথা শোন।”

36. যখন কথা থেমে গেল তখন দেখা গেল ঈসা একাই আছেন। সাহাবীরা যা দেখেছিলেন সেই বিষয়ে সেই সময় কাউকে কিছু না বলে তাঁরা চুপ করে রইলেন।

37. পরের দিন ঈসা ও সেই তিনজন সাহাবী পাহাড় থেকে নেমে আসলে পর অনেক লোক ঈসার সংগে দেখা করতে আসল।

38. তখন ভিড়ের মধ্য থেকে একজন লোক চিৎকার করে ঈসাকে বলল, “হুজুর, দয়া করে আমার ছেলেটাকে দেখুন। সে আমার একমাত্র ছেলে।

39. তাকে একটা ভূতে ধরে এবং সে হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে। সেই ভূত যখন তাকে মুচড়ে ধরে তখন তার মুখ থেকে ফেনা বের হয়; তারপর সে তাকে খুব কষ্ট দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ছেড়ে দেয়।

40. আমি আপনার সাহাবীদের কাছে কাকুতি-মিনতি করেছিলাম যেন তাঁরা সেই ভূতকে ছাড়িয়ে দেন, কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”

41. তখন ঈসা বললেন, “বেঈমান ও দুষ্ট লোকেরা! আর কতদিন আমি তোমাদের সংগে থাকব ও তোমাদের সহ্য করব? তোমার ছেলেকে এখানে আন।”

42. ছেলেটা যখন আসছিল তখন সেই ভূত তাকে আছাড় মেরে মুচড়ে ধরল। এতে ঈসা সেই ভূতকে ধমক দিলেন এবং ছেলেটিকে সুস্থ করে তার পিতার কাছে ফিরিয়ে দিলেন।

43. আল্লাহ্‌ যে কত মহান তা দেখে সবাই আশ্চর্য হল।ঈসা যা করছিলেন সেই বিষয়ে সবাই যখন আশ্চর্য হয়ে ভাবছিল তখন তিনি তাঁর সাহাবীদের বললেন,

44. “আমার এই কথা মন দিয়ে শোন, ইব্‌ন্তেআদমকে লোকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে।”

45. সাহাবীরা কিন্তু সেই কথা বুঝলেন না। আল্লাহ্‌ তাঁদের কাছ থেকে তা গোপন রেখেছিলেন যেন তাঁরা বুঝতে না পারেন। এই নিয়ে কোন কথা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করতেও সাহাবীদের ভয় হল।

46. সাহাবীদের মধ্যে কে সবচেয়ে বড় সেই বিষয়ে তাঁদের মধ্যে তর্ক হচ্ছিল।

47. ঈসা তাঁদের মনের চিন্তা বুঝতে পেরে একটা শিশুকে নিয়ে নিজের পাশে দাঁড় করালেন।

48. তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুকে গ্রহণ করে সে আমাকেই গ্রহণ করে। যে আমাকে গ্রহণ করে, আমাকে যিনি পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই গ্রহণ করে। তোমাদের সকলের মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট, সে-ই বড়।”

49. ইউহোন্না বললেন, “হুজুর, আপনার নামে আমরা একজনকে ভূত ছাড়াতে দেখেছি। সে আমাদের দলের লোক নয় বলে আমরা তাকে নিষেধ করেছি।”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন লূক 9