37. “তুমি যদি ইহুদীদের বাদশাহ্ হও তবে নিজেকে রক্ষা কর।”
38. ক্রুশে তাঁর মাথার উপরের দিকে একটা ফলকে এই কথা লেখা ছিল, “এই লোকটি ইহুদীদের বাদশাহ্।”
39. যে দু’জন দোষী লোককে সেখানে ক্রুশে টাংগানো হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ঈসাকে টিট্কারি দিয়ে বলল, “তুমি নাকি মসীহ্? তাহলে নিজেকে ও আমাদের রক্ষা কর।”
40. তখন অন্য লোকটি তাকে বকুনি দিয়ে বলল, “তুমি কি আল্লাহ্কে ভয় কর না? তুমি তো একই রকম শাস্তি পাচ্ছ।
41. আমরা উচিত শাস্তি পাচ্ছি। আমাদের যা পাওনা আমরা তা-ই পাচ্ছি, কিন্তু এই লোকটি তো কোন দোষ করে নি।”
42. তারপর সে বলল, “ঈসা, আপনি যখন রাজত্ব করতে ফিরে আসবেন তখন আমার কথা মনে করবেন।”
43. জবাবে ঈসা তাকে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যি বলছি, তুমি আজকেই আমার সংগে জান্নাতুল-ফেরদৌসে উপস্থিত হবে।”
44-45. তখন বেলা প্রায় দুপুর। সূর্য আলো দেওয়া বন্ধ করল এবং সারা দেশ অন্ধকার হয়ে গেল। বেলা তিনটা পর্যন্ত সেই রকমই রইল। বায়তুল-মোকাদ্দসের পর্দাটা মাঝখানে চিরে দু’ভাগ হয়ে গেল।
46. ঈসা চিৎকার করে বললেন, “পিতা, আমি তোমার হাতে আমার রূহ্ তুলে দিলাম।” এই কথা বলে তিনি প্রাণত্যাগ করলেন।
47. এই সব দেখে রোমীয় শত-সেনাপতি আল্লাহ্র প্রশংসা করে বললেন, “সত্যিই লোকটি ধার্মিক ছিল।”
48. যে লোকেরা সেখানে জমায়েত হয়েছিল তারা এই সমস্ত ঘটনা দেখে বুক চাপ্ড়াতে চাপ্ড়াতে সেখান থেকে ফিরে গেল।
49. যাঁরা ঈসাকে চিনতেন এবং যে স্ত্রীলোকেরা গালীল থেকে তাঁর সংগে সংগে এসেছিলেন তাঁরা সবাই দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলেন।
50. ইউসুফ নামে একজন সৎ ও ধার্মিক লোক মহাসভার সদস্য ছিলেন। তিনি অরিমাথিয়া নামে ইহুদীদের একটা গ্রামের লোক।
51. ঈসার বিষয়ে সভার লোকদের সংগে তিনি একমত হতে পারেন নি। তিনি আল্লাহ্র রাজ্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
52. পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি ঈসার লাশটি চেয়ে নিলেন।
53. পরে লাশটি ক্রুশ থেকে নামিয়ে কাফন দিয়ে জড়ালেন এবং পাথর কেটে তৈরী করা একটা কবরের মধ্যে দাফন করলেন। সেই কবরে আর কখনও কাউকে দাফন করা হয় নি।
54. সেই দিনটা ছিল বিশ্রামবারের আয়োজনের দিন। বিশ্রামবার প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
55. যে স্ত্রীলোকেরা ঈসার সংগে গালীল থেকে এসেছিলেন তাঁরা ইউসুফের পিছনে পিছনে গিয়ে কবরটি দেখলেন এবং ঈসার লাশ কিভাবে দাফন করা হল তাও দেখলেন।