33. যে জায়গাটাকে মাথার খুলি বলা হত সেখানে পৌঁছে তারা ঈসাকে ও সেই দু’জন দোষীকে ক্রুশে দিল- একজনকে ঈসার ডান দিকে ও অন্যজনকে বাঁদিকে।
34. তখন ঈসা বললেন, “পিতা, এদের মাফ কর, কারণ এরা কি করছে তা জানে না।”তারা গুলিবাঁট করে ঈসার কাপড়-চোপড় নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল।
35. লোকেরা দাঁড়িয়ে দেখছিল। ধর্ম-নেতারা ঈসাকে ঠাট্টা করে বললেন, “সে তো অন্যদের রক্ষা করত। যদি সে আল্লাহ্র মসীহ্, তাঁর বাছাই-করা বান্দা হয় তবে নিজেকে রক্ষা করুক!”
36. সৈন্যেরাও তাঁকে ঠাট্টা করতে লাগল। তারা ঈসাকে খেতে দেবার জন্য তাঁর কাছে সিরকা নিয়ে গিয়ে বলল,
37. “তুমি যদি ইহুদীদের বাদশাহ্ হও তবে নিজেকে রক্ষা কর।”
38. ক্রুশে তাঁর মাথার উপরের দিকে একটা ফলকে এই কথা লেখা ছিল, “এই লোকটি ইহুদীদের বাদশাহ্।”
39. যে দু’জন দোষী লোককে সেখানে ক্রুশে টাংগানো হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন ঈসাকে টিট্কারি দিয়ে বলল, “তুমি নাকি মসীহ্? তাহলে নিজেকে ও আমাদের রক্ষা কর।”
40. তখন অন্য লোকটি তাকে বকুনি দিয়ে বলল, “তুমি কি আল্লাহ্কে ভয় কর না? তুমি তো একই রকম শাস্তি পাচ্ছ।
41. আমরা উচিত শাস্তি পাচ্ছি। আমাদের যা পাওনা আমরা তা-ই পাচ্ছি, কিন্তু এই লোকটি তো কোন দোষ করে নি।”
42. তারপর সে বলল, “ঈসা, আপনি যখন রাজত্ব করতে ফিরে আসবেন তখন আমার কথা মনে করবেন।”
43. জবাবে ঈসা তাকে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যি বলছি, তুমি আজকেই আমার সংগে জান্নাতুল-ফেরদৌসে উপস্থিত হবে।”
44-45. তখন বেলা প্রায় দুপুর। সূর্য আলো দেওয়া বন্ধ করল এবং সারা দেশ অন্ধকার হয়ে গেল। বেলা তিনটা পর্যন্ত সেই রকমই রইল। বায়তুল-মোকাদ্দসের পর্দাটা মাঝখানে চিরে দু’ভাগ হয়ে গেল।
46. ঈসা চিৎকার করে বললেন, “পিতা, আমি তোমার হাতে আমার রূহ্ তুলে দিলাম।” এই কথা বলে তিনি প্রাণত্যাগ করলেন।
47. এই সব দেখে রোমীয় শত-সেনাপতি আল্লাহ্র প্রশংসা করে বললেন, “সত্যিই লোকটি ধার্মিক ছিল।”
48. যে লোকেরা সেখানে জমায়েত হয়েছিল তারা এই সমস্ত ঘটনা দেখে বুক চাপ্ড়াতে চাপ্ড়াতে সেখান থেকে ফিরে গেল।
49. যাঁরা ঈসাকে চিনতেন এবং যে স্ত্রীলোকেরা গালীল থেকে তাঁর সংগে সংগে এসেছিলেন তাঁরা সবাই দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছু দেখছিলেন।
50. ইউসুফ নামে একজন সৎ ও ধার্মিক লোক মহাসভার সদস্য ছিলেন। তিনি অরিমাথিয়া নামে ইহুদীদের একটা গ্রামের লোক।