12. তখন সে তোমাদের উপরতলার একটা সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে; সেখানেই সব কিছু প্রস্তুত কোরো।”
13. ঈসা তাঁদের যেমন বলেছিলেন, তাঁরা গিয়ে সব কিছু সেই রকমই দেখতে পেলেন এবং উদ্ধার-ঈদের মেজবানী প্রস্তুত করলেন।
14. তারপর সময় মত ঈসা সাহাবীদের সংগে খেতে বসলেন।
15. তিনি তাঁদের বললেন, “আমি কষ্টভোগ করবার আগে তোমাদের সংগে উদ্ধার-ঈদের এই মেজবানী খাবার আমার খুবই ইচ্ছা ছিল।
16. আমি তোমাদের বলছি, আল্লাহ্র রাজ্যে এর উদ্দেশ্য পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমি আর কখনও এই মেজবানী খাব না।”
17. এর পর ঈসা পেয়ালা নিলেন এবং আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানিয়ে বললেন, “তোমাদের মধ্যে এটা ভাগ করে নাও,
18. কারণ আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আল্লাহ্র রাজ্য না আসা পর্যন্ত আমি আর কখনও আংগুর ফলের রস খাব না।”
19. তারপর তিনি রুটি নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন। পরে সেই রুটি টুকরা টুকরা করে সাহাবীদের দিয়ে বললেন, “এটা আমার শরীর যা তোমাদের জন্য দেওয়া হবে। আমাকে মনে করবার জন্য এই রকম কোরো।”
20. খাওয়ার পরে সেইভাবে তিনি পেয়ালাটা তাঁদের দিয়ে বললেন, “আমার রক্তের দ্বারা আল্লাহ্র যে নতুন ব্যবস্থা বহাল করা হবে সেই ব্যবস্থার চিহ্ন হল এই পেয়ালা। আমার এই রক্ত তোমাদের জন্য দেওয়া হবে।
21. দেখ, যে আমাকে ধরিয়ে দেবে তার হাত আমার হাতের সংগে এই টেবিলের উপরেই আছে।