18. যে কেউ সেই পাথরের উপরে পড়বে সে ভেংগে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে এবং যার উপর সেই পাথর পড়বে সে চুরমার হয়ে যাবে।”
19. এই সময়ে আলেমেরা ও প্রধান ইমামেরা ঈসাকে ধরতে চাইলেন, কারণ তাঁরা বুঝেছিলেন যে, ঐ কথা ঈসা তাঁদের বিরুদ্ধেই বলেছেন; কিন্তু তাঁরা লোকদের ভয় পেলেন।
20. আলেম ও প্রধান ইমামেরা ঈসাকে চোখে চোখে রাখলেন এবং গোয়েন্দা পাঠিয়ে দিলেন। ঈসাকে তাঁর নিজের কথার ফাঁদে ফেলবার জন্য সেই গোয়েন্দারা ভাল মানুষের ভাণ করতে লাগল, যেন তারা তাঁকে প্রধান শাসনকর্তার বিচার-ক্ষমতার অধীনে ফেলতে পারে।
21. সেইজন্য তারা তাঁকে বলল, “হুজুর, আমরা জানি যে, আপনি যা বলেন ও শিক্ষা দেন তা ঠিক। আপনি সবাইকে সমান চোখে দেখেন এবং সত্য ভাবেই আল্লাহ্র পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
22. আচ্ছা, মূসার শরীয়ত অনুসারে রোম-সম্রাটকে কি খাজনা দেওয়া উচিত?”
23. ঈসা তাদের চালাকি বুঝতে পেরে বললেন,
24. “আমাকে একটা দীনার দেখাও। এর উপরে কার ছবি ও কার নাম আছে?”তারা বলল, “রোম-সম্রাটের।”
25. ঈসা তাদের বললেন, “তা হলে যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দাও এবং যা আল্লাহ্র তা আল্লাহ্কে দাও।”
26. লোকদের সামনে ঈসা যা বলেছিলেন তাতে সেই গোয়েন্দারা তাঁকে তাঁর কথার ফাঁদে ফেলতে পারল না। তাঁর জবাবে আশ্চর্য হয়ে তারা চুপ হয়ে গেল।
27. সদ্দূকীদের মধ্যে কয়েকজন ঈসার কাছে আসলেন। সদ্দূকীদের মতে মৃতদের জীবিত হয়ে উঠা বলে কিছু নেই। তাঁরা ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
28. “হুজুর, মূসা আমাদের জন্য এই কথা লিখে গেছেন, সন্তানহীন অবস্থায় যদি কোন লোক তার স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, তবে তার ভাই তার স্ত্রীকে বিয়ে করে ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা করবে।
29. খুব ভাল, ধরুন, সাতজন ভাই ছিল। প্রথম জন বিয়ে করে সন্তানহীন অবস্থায় মারা গেল।
30-31. পরে দ্বিতীয় ও তার পরে তৃতীয় ভাই সেই বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করল এবং সেই একইভাবে সাতজনই ছেলেমেয়ে না রেখে মারা গেল।
32. শেষে সেই স্ত্রীলোকটিও মারা গেল।
33. তাহলে যেদিন মৃতেরা জীবিত হয়ে উঠবে সেই দিন সে কার স্ত্রী হবে? সাতজনের প্রত্যেকেই তো তাকে বিয়ে করেছিল।”
34. ঈসা তাঁদের বললেন, “এই কালের লোকেরা বিয়ে করে এবং তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
35. কিন্তু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে আগামী যুগে পার হয়ে যাবার যোগ্য বলে যাদের ধরা হবে, তারা বিয়ে করবে না এবং তাদের বিয়ে দেওয়াও হবে না।
36. তারা আর মরতে পারে না, কারণ তারা ফেরেশতাদের মত। তারা আল্লাহ্র সন্তান কারণ মৃত্যু থেকে তাদের জীবিত করা হয়েছে।
37. জ্বলন্ত ঝোপের বিষয়ে যেখানে লেখা আছে সেখানে মূসা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, মৃতেরা সত্যিই জীবিত হয়ে ওঠে। সেখানে মূসা মাবুদকে ‘ইব্রাহিমের আল্লাহ্, ইসহাকের আল্লাহ্ ও ইয়াকুবের আল্লাহ্’ বলে ডেকেছেন।
38. কিন্তু আল্লাহ্ তো মৃতদের আল্লাহ্ নন, তিনি জীবিতদেরই আল্লাহ্। তাঁরই উদ্দেশ্যে সব লোক বেঁচে থাকে।”
39. তখন কয়েকজন আলেম বললেন, “হুজুর, আপনি ভালই বলেছেন।”