22. “তখন বাদশাহ্ বললেন, ‘ওরে দুষ্ট গোলাম! তোর মুখের কথা দিয়েই আমি তোর বিচার করব। তুই তো জানতিস্ যে, আমি কড়া লোক; যা জমা করি নি তা নিয়ে থাকি এবং যা বুনি নি তা কাটি।
23. তবে আমার টাকা তুই মহাজনের কাছে রাখলি না কেন? তাহলে তো আমি এসে টাকাটাও পেতাম এবং সংগে কিছু সুদও পেতাম।’
24. “যারা বাদশাহ্র কাছে দাঁড়িয়ে ছিল বাদশাহ্ তাদের বললেন, ‘ওর কাছ থেকে ঐ একশো দীনার নিয়ে নাও এবং যার এক হাজার দীনার আছে তাকে দাও।’
25. “তখন সেই লোকেরা বাদশাহ্কে বলল, ‘হুজুর, ওর তো এক হাজার দীনার আছে।’
26. “বাদশাহ্ বললেন, ‘আমি তোমাদের বলছি, যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, কিন্তু যার নেই তার যা আছে তা-ও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
27. আমার শত্রুরা যারা চায় নি আমি বাদশাহ্ হই, তাদের এখানে নিয়ে এস এবং আমার সামনে মেরে ফেল।’ ”
28. এই সব কথা বলবার পরে ঈসা তাঁদের আগে আগে জেরুজালেমের দিকে চললেন।
29. যখন তিনি জৈতুন পাহাড়ের গায়ে বৈৎফগী ও বেথানিয়া গ্রামের কাছে আসলেন তখন তাঁর দু’জন সাহাবীকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন,
30. “তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও। সেখানে ঢুকবার সময় দেখতে পাবে একটা গাধার বাচ্চা বাঁধা আছে। ওর উপরে কেউ কখনও চড়ে নি। ওটা খুলে এখানে নিয়ে এস।
31. যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, ‘কেন ওটা খুলছ?’ তবে বোলো, ‘হুজুরের দরকার আছে।’ ”
32. যে সাহাবীদের পাঠানো হয়েছিল তাঁরা গিয়ে ঈসার কথামতই সব কিছু দেখতে পেলেন।
33. তাঁরা যখন সেই বাচ্চাটা খুলছিলেন তখন মালিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসা করল, “তোমরা বাচ্চাটা খুলছ কেন?”
34. তাঁরা বললেন, “হুজুরের দরকার আছে।”