16. প্রথম জন এসে বলল, ‘হুজুর, আপনার টাকা দিয়ে আমি দশগুণ লাভ করেছি।’
17. “বাদশাহ্ তাকে বললেন, ‘শাবাশ! তুমি ভাল গোলাম। তুমি সামান্য বিষয়ে বিশ্বস্ত হয়েছ বলে আমি তোমাকে দশটা গ্রামের ভার দিলাম।’
18. “দ্বিতীয় গোলামটি এসে বলল, ‘হুজুর, আপনার টাকা দিয়ে আমি পাঁচগুণ লাভ করেছি।’
19. “তিনি সেই গোলামকে বললেন, ‘তুমি পাঁচটা গ্রামের ভার পাবে।’
20. “তার পরে অন্য আর একজন গোলাম এসে বলল, ‘হুজুর, আমি আপনার টাকা রুমালে বেঁধে রেখে দিয়েছিলাম।
21. আপনার সম্বন্ধে আমার ভয় ছিল কারণ আপনি খুব কড়া লোক; আপনি যা জমা করেন নি তা নিয়ে থাকেন এবং যা বোনেন নি তা কাটেন।’
22. “তখন বাদশাহ্ বললেন, ‘ওরে দুষ্ট গোলাম! তোর মুখের কথা দিয়েই আমি তোর বিচার করব। তুই তো জানতিস্ যে, আমি কড়া লোক; যা জমা করি নি তা নিয়ে থাকি এবং যা বুনি নি তা কাটি।
23. তবে আমার টাকা তুই মহাজনের কাছে রাখলি না কেন? তাহলে তো আমি এসে টাকাটাও পেতাম এবং সংগে কিছু সুদও পেতাম।’
24. “যারা বাদশাহ্র কাছে দাঁড়িয়ে ছিল বাদশাহ্ তাদের বললেন, ‘ওর কাছ থেকে ঐ একশো দীনার নিয়ে নাও এবং যার এক হাজার দীনার আছে তাকে দাও।’
25. “তখন সেই লোকেরা বাদশাহ্কে বলল, ‘হুজুর, ওর তো এক হাজার দীনার আছে।’
26. “বাদশাহ্ বললেন, ‘আমি তোমাদের বলছি, যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, কিন্তু যার নেই তার যা আছে তা-ও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।
27. আমার শত্রুরা যারা চায় নি আমি বাদশাহ্ হই, তাদের এখানে নিয়ে এস এবং আমার সামনে মেরে ফেল।’ ”
28. এই সব কথা বলবার পরে ঈসা তাঁদের আগে আগে জেরুজালেমের দিকে চললেন।