2. এই ছোটদের মধ্যে একজনকে যদি কেউ গুনাহের পথে নিয়ে যায়, তবে তার গলায় বড় পাথর বেঁধে তাকে সাগরে ফেলে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
3. “তোমরা সাবধান হও। যদি তোমার ভাই তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করে তাকে বকুনি দাও। যদি সে সেই অন্যায় থেকে মন ফিরায় তবে তাকে মাফ কর।
4. যদি দিনের মধ্যে সাতবার তোমার বিরুদ্ধে সে অন্যায় করে এবং সাতবারই এসে বলে, ‘আমি এই অন্যায় থেকে মন ফিরিয়েছি,’ তাহলে তাকে মাফ করতে হবে।”
5. সেই বারোজন সাহাবী হযরত ঈসাকে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিন।”
6. ঈসা বললেন, “একটা সরিষা-দানার মতও যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে তবে তোমরা এই তুঁত গাছটাকে বলতে পারবে, ‘শিকড়সুদ্ধ উঠে গিয়ে নিজেকে সাগরে পুঁতে রাখ’; তাতে সেই গাছটি তোমাদের কথা শুনবে।
7. “মনে কর, তোমাদের একজনের গোলাম হাল বাইছে বা ভেড়া চরাচ্ছে। যখন সেই গোলাম মাঠ থেকে আসবে তখন কি তার মালিক তাকে বলবেন, ‘তাড়াতাড়ি গিয়ে খেতে বস’?
8. না, তা বলবেন না, বরং বলবেন, ‘আমার খাওয়ার আয়োজন কর, আর আমি যতক্ষণ খাওয়া-দাওয়া করি ততক্ষণ কোমরে কাপড় জড়িয়ে আমার সেবা-যত্ন কর। তারপর তুমি খাওয়া-দাওয়া করবে।’
9. সেই গোলাম তাঁর হুকুম মত কাজ করেছে বলে কি তিনি তাকে শুকরিয়া জানাবেন?
10. সেইভাবে আল্লাহ্র হুকুম মত সমস্ত কাজ করবার পরে তোমরা বোলো, ‘আমরা অপদার্থ গোলাম; যা করা উচিত আমরা কেবল তা-ই করেছি।’ ”
11-13. জেরুজালেমে যাবার পথে ঈসা সামেরিয়া ও গালীলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন একটা গ্রামে ঢুকবার সময় তিনি দশজন চর্মরোগীকে দেখতে পেলেন। তারা দূরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল, “ঈসা, হুজুর, আমাদের দয়া করুন।”
14. সেই রোগীদের দেখে ঈসা বললেন, “ইমামদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও।”তারা পথে যেতে যেতেই সুস্থ হয়ে গেল।