22. ঠিক সেইভাবে আল্লাহ্ তাঁর গজব ও কুদরত দেখাতে চেয়েছিলেন; তবুও যে লোকদের উপরে তাঁর গজব নাজেল করবেন, খুব ধৈর্যের সংগে তিনি তাদের সহ্য করলেন। এই লোকদের একমাত্র পাওনা ছিল ধ্বংস।
23. আবার তিনি তাঁর অশেষ মহিমার কথাও জানাতে চেয়েছিলেন। যারা তাঁর দয়ার পাত্র তাদের তিনি তাঁর মহিমা পাবার জন্য আগেই তৈরী করে রেখেছিলেন।
24. আমরাই সেই দয়ার পাত্র। তিনি আমাদের কেবল ইহুদীদের মধ্য থেকে ডাকেন নি, অ-ইহুদীদের মধ্য থেকেও ডেকেছেন।
25. নবী হোসিয়ার কিতাবে আল্লাহ্ বলেছেন, “যারা আমার নয় তাদের আমি আমার বান্দা বলে ডাকব, আর যাকে আমি মহব্বত করি নি তাকে আমি আমার প্রিয়া বলে ডাকব।
26. যে জায়গায় তাদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার বান্দা নও,’ সেখানে তাদের জীবন্ত আল্লাহ্র সন্তান বলে ডাকা হবে।”
27. নবী ইশাইয়া ইসরাইল জাতির বিষয়ে বলেছিলেন, “বনি-ইসরাইলরা যদিও সংখ্যায় সমুদ্র-পারের বালির মত তবুও কেবল তার বিশেষ একটা অংশই উদ্ধার পাবে।
28. মাবুদ শীঘ্রই দুনিয়াকে তার পাওনা শাস্তি পুরোপুরিভাবেই দেবেন।”
29. নবী ইশাইয়া আরও বলেছিলেন, “আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যদি কিছু বংশধর আমাদের জন্য রেখে না যেতেন তবে আমাদের অবস্থা সাদুম ও আমুরা শহরের মত হত।”
30. তাহলে আমরা এই কথাই বলব যে, অ-ইহুদীরা যদিও আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হবার চেষ্টাও করে নি তবুও তাদের ঈমানের মধ্য দিয়েই তারা আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
31. কিন্তু বনি-ইসরাইলরা শরীয়ত পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ্র গ্রহণযোগ্য হবার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা তা হতে পারে নি।
32. কেন পারে নি? কারণ তারা ঈমানের উপর ভরসা না করে কাজের উপর ভরসা করেছিল। যে পাথরে লোকে উচোট খায় তাতেই তারা উচোট খেয়েছিল।
33. এই বিষয়ে পাক-কিতাবে লেখা আছে,দেখ, আমি সিয়োনে এমন একটা পাথর রাখছি যাতে লোকে উচোট খাবে এবং যা লোকের উচোট খাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু যে তাঁর উপরে ঈমান আনে সে নিরাশ হবে না।