13. আর তাই পাক-কিতাবে লেখা আছে, “ইয়াকুবকে আমি মহব্বত করেছি, কিন্তু ইস্কে অগ্রাহ্য করেছি।”
14. তাহলে আমরা কি বলব আল্লাহ্ অন্যায় করেন? মোটেই না।
15. তিনি মূসাকে বলেছিলেন, “আমার যাকে ইচ্ছা তাকে দয়া করব, যাকে ইচ্ছা তাকে মমতা করব।”
16. এটা তাহলে কারও চেষ্টা বা ইচ্ছার উপর ভরসা করে না, আল্লাহ্র দয়ার উপরেই ভরসা করে।
17. পাক-কিতাবে আল্লাহ্ ফেরাউনকে এই কথা বলেছিলেন, “আমি তোমাকে বাদশাহ্ করেছি যেন তোমার প্রতি আমার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমার কুদরত দেখাতে পারি এবং সমস্ত দুনিয়াতে যেন আমার নাম প্রচারিত হয়।”
18. তাহলে দেখা যায়, আল্লাহ্ নিজের ইচ্ছামত কাউকে দয়া করেন এবং কারও দিল কঠিন করেন।
19. হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করবে, “তবে আল্লাহ্ মানুষের দোষ ধরেন কেন? কেউ কি আল্লাহ্র উদ্দেশ্যকে বাধা দিতে পারে?”
20. তার জবাবে আমি বলব যে, তুমি মানুষ; আল্লাহ্র কথার উপর কথা বলবার তুমি কে? কোন লোক যদি একটা জিনিস তৈরী করে তবে সেই তৈরী করা জিনিসটা কি তাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে, “কেন আমাকে এই রকম তৈরী করলে?”
21. একই মাটি থেকে কি কুমারের ভিন্ন ভিন্ন রকমের পাত্র তৈরী করবার অধিকার নেই- কোনটা সম্মানের কাজের জন্য বা কোনটা নীচু কাজের জন্য?
22. ঠিক সেইভাবে আল্লাহ্ তাঁর গজব ও কুদরত দেখাতে চেয়েছিলেন; তবুও যে লোকদের উপরে তাঁর গজব নাজেল করবেন, খুব ধৈর্যের সংগে তিনি তাদের সহ্য করলেন। এই লোকদের একমাত্র পাওনা ছিল ধ্বংস।
23. আবার তিনি তাঁর অশেষ মহিমার কথাও জানাতে চেয়েছিলেন। যারা তাঁর দয়ার পাত্র তাদের তিনি তাঁর মহিমা পাবার জন্য আগেই তৈরী করে রেখেছিলেন।