3. মানুষের গুনাহ্-স্বভাবের দরুন শরীয়ত শক্তিহীন হয়ে পড়েছিল, আর সেইজন্য শরীয়ত যা করতে পারে নি আল্লাহ্ নিজে তা করেছেন। তিনি গুনাহ্ দূর করবার জন্য নিজের নিষ্পাপ পুত্রকে মানুষের স্বভাব দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন এবং তাঁর পুত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গুনাহের বিচার করে তার শক্তিকে বাতিল করে দিলেন।
4. তিনি তা করলেন যেন গুনাহ্-স্বভাবের অধীনে না চলে পাক-রূহের অধীনে চলবার দরুন আমাদের মধ্যে শরীয়তের দাবি-দাওয়া পূর্ণ হয়।
5. যারা গুনাহ্-স্বভাবের অধীন তাদের মন গুনাহ্-স্বভাব যা চায় তাতে আগ্রহী; আর যারা পাক-রূহের অধীন তাদের মন পাক-রূহ্ যা চান তাতে আগ্রহী।
6. গুনাহ্-স্বভাব যা চায় তাতে আগ্রহী হবার ফল হল মৃত্যু, আর পাক-রূহ্ যা চান তাতে আগ্রহী হবার ফল হল জীবন ও শান্তি।
7. যে মন গুনাহ্-স্বভাব যা চায় তাতে আগ্রহী, সেই মন আল্লাহ্র বিরুদ্ধে, কারণ তা আল্লাহ্র শরীয়ত মানতে চায় না, মানতে পারেও না।
8. কাজেই যারা গুনাহ্-স্বভাবের অধীন তারা আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করতে পারে না।
9. কিন্তু আল্লাহ্র রূহ্ যদি তোমাদের দিলে বাস করেন তবে তোমরা তো গুনাহ্-স্বভাবের অধীন নও বরং পাক-রূহের অধীন। যার দিলে মসীহের রূহ্ নেই সে মসীহের নয়।
10. কিন্তু মসীহ্ যদি তোমাদের দিলে থাকেন তবে গুনাহের দরুন তোমাদের শরীরের উপর মৃত্যু কাজ করতে থাকলেও তোমাদের রূহ্ জীবিত, কারণ আল্লাহ্ তোমাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করেছেন।
11. যিনি ঈসাকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন সেই আল্লাহ্র রূহ্ যদি তোমাদের দিলে বাস করেন, তবে আল্লাহ্ তাঁর সেই রূহের দ্বারা তোমাদের মৃত্যুর অধীন শরীরকেও জীবন দান করবেন।
12. সেইজন্য ভাইয়েরা, আমরা ঋণী, কিন্তু সেই ঋণ গুনাহ্-স্বভাবের কাছে নয়। গুনাহ্-স্বভাবের অধীন হয়ে আর আমাদের চলবার দরকার নেই।