6. আমরা জানি যে, আমাদের গুনাহ্-স্বভাবকে অকেজো করবার জন্যই আমাদের পুরানো ‘আমি’কে মসীহের সংগে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছে যেন গুনাহের গোলাম হয়ে আর আমাদের থাকতে না হয়;
7. কারণ যে মরেছে সে গুনাহের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে।
8. আমরা যখন মসীহের সংগে মরেছি তখন ঈমান রাখি যে, তাঁর সংগে জীবিতও থাকব।
9. আমরা জানি মসীহ্কে মৃত্যু থেকে জীবিত করা হয়েছিল বলে তিনি আর কখনও মরবেন না, অর্থাৎ তাঁর উপরে মৃৃত্যুর আর কোন হাত নেই।
10. তিনি যখন মরলেন তখন গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছেও মরলেন; তাঁর উপর গুনাহের আর কোন দাবি-দাওয়া রইল না। আর এখন তিনি জীবিত হয়ে আল্লাহ্র জন্য বেঁচে আছেন।
11. ঠিক সেইভাবে এই কথার উপর ভরসা কোরো যে, মসীহ্ ঈসার সংগে যুক্ত হয়েছ বলে গুনাহের দাবি-দাওয়ার কাছে তোমরাও মরেছ, আর এখন আল্লাহ্র জন্য তোমরাও বেঁচে আছ।
12. এইজন্য তোমাদের এই মৃত্যুর অধীন শরীরের উপর গুনাহ্কে আর রাজত্ব করতে দিয়ো না। যদি দাও তবে তোমাদের শরীরের খারাপ ইচ্ছার অধীনেই তোমরা চলতে থাকবে।
13. শরীরের কোন অংশকে অন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে গুনাহের হাতে তুলে দিয়ো না। মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ওঠা লোক হিসাবে তোমরা বরং আল্লাহ্র হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং ন্যায় কাজ করবার হাতিয়ার হিসাবে তোমাদের সম্পূর্ণ শরীরকেই আল্লাহ্কে দিয়ে দাও।
14. তোমরা তো গুনাহের গোলাম নও, কারণ তোমরা আল্লাহ্র রহমতের অধীন, শরীয়তের অধীন নও।
15. কিন্তু শরীয়তের অধীনে না থেকে রহমতের অধীন হয়েছি বলে কি আমরা গুনাহ্ করব? নিশ্চয় না।
16. তোমরা কি জান না যে, গোলামের মত যখন তোমরা কারও হাতে নিজেদের তুলে দাও এবং তার হুকুম পালন করতে থাক তখন তোমরা আসলে তার গোলামই হয়ে পড়? সেইভাবে হয় তোমরা গুনাহের গোলাম হয়ে মরবে, নয় আল্লাহ্র গোলাম হয়ে ন্যায় কাজ করবে।
17. কিন্তু আল্লাহ্র শুকরিয়া হোক, কারণ যদিও তোমরা গুনাহের গোলাম ছিলে তবুও যে শিক্ষা তোমাদের দেওয়া হয়েছে সমস্ত দিল দিয়ে তোমরা তার বাধ্য হয়েছ।