5. কিন্তু যে নিজের চেষ্টার উপর ভরসা না করে কেবল আল্লাহ্র উপর ঈমান আনে আল্লাহ্ তার সেই ঈমানের জন্য তাকে ধার্মিক বলে ধরেন, কারণ তিনিই গুনাহ্গারকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করতে পারেন।
6. দাউদও সেই লোককে ধন্য বলেছেন যাকে আল্লাহ্ কোন কাজ ছাড়াই ধার্মিক বলে ধরেছেন। দাউদ বলেছেন,
7. ধন্য সেই লোকেরা, যাদের আল্লাহ্র প্রতি বিদ্রোহ মাফ করা হয়েছে,যাদের গুনাহ্ ঢাকা দেওয়া হয়েছে।
8. ধন্য সেই লোক, যার অন্যায় মাবুদ মাফ করেছেন।
9. এখানে কি কেবল তাদেরই ধন্য বলা হয়েছে যাদের খৎনা করানো হয়েছে? খৎনা-না-করানো লোকদেরও কি বলা হয় নি? জ্বী, তাদেরও ধন্য বলা হয়েছে, কারণ আমরা বলছি, “ইব্রাহিমের ঈমানের জন্য তাঁকে ধার্মিক বলে ধরা হয়েছিল।”
10. কোন্ অবস্থায় ধরা হয়েছিল? খৎনা করাবার আগে, না পরে? খৎনা করাবার আগেই ধরা হয়েছিল, পরে নয়।
11. খৎনা-না-করানো অবস্থায় ঈমানের জন্যই যে আল্লাহ্ তাঁকে ধার্মিক বলে ধরেছিলেন তাঁর খৎনা করানোটা ছিল তারই প্রমাণ এবং চিহ্ন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, খৎনা করানো না হলেও কেবল ঈমানের জন্যই যাদের ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়, ইব্রাহিম তাদের সকলের পিতা।
12. এছাড়া, খৎনা করাবার আগে ইব্রাহিম যেভাবে ঈমানের পথে চলতেন, যে সব খৎনা করানো লোক সেইভাবে চলে ইব্রাহিম তাদেরও পিতা।
13. ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরদের কাছে আল্লাহ্ ওয়াদা করেছিলেন যে, এই দুনিয়া ইব্রাহিমেরই হবে। শরীয়ত পালন করবার ফলে এই ওয়াদা তাঁর কাছে করা হয় নি, কিন্তু তাঁর ঈমানের মধ্য দিয়েই তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়েছিল আর সেইজন্যই সেই ওয়াদা করা হয়েছিল।
14. শরীয়ত পালন করেই যদি কেউ দুনিয়ার অধিকার পেয়ে যায় তবে তো ঈমান অকেজো হয়ে পড়ে আর আল্লাহ্র সেই ওয়াদারও কোন মূল্য থাকে না,
15. কারণ শরীয়ত আল্লাহ্র গজবকে ডেকে আনে। আর সত্যি বলতে কি, যেখানে শরীয়ত নেই সেখানে শরীয়ত অমান্য করবার প্রশ্নও নেই।
16. সেইজন্য মানুষের ঈমানের মধ্য দিয়ে এই ওয়াদা পূর্ণ করা হয়, যেন এটা আল্লাহ্র রহমতের দান হতে পারে। আর তাই ইব্রাহিমের বংশধরদের সকলের জন্যই এই ওয়াদা নিশ্চয়ই পূর্ণ হবে। শরীয়তের অধীন লোকদের জন্যই যে কেবল এই ওয়াদা পূর্ণ হবে তা নয়, যে সব লোক ইব্রাহিমের মত একই ঈমানে ঈমানদার তাদের জন্যও নিশ্চয়ই এই ওয়াদা পূর্ণ হবে।