12. তার মানে, আমরা সবাই যেন একে অন্যের ঈমান থেকে উৎসাহ পাই।
13. ভাইয়েরা, এই কথা জেনো যে, অনেক বারই আমি তোমাদের কাছে যাবার ইচ্ছা করেও এই পর্যন্ত বাধা পেয়ে আসছি। অন্যান্য জায়গায় অ-ইহুদীদের মধ্যে তবলিগ করে যেমন ফল লাভ করেছি, ঠিক সেইভাবে তোমাদের মধ্যেও কিছু ফল দেখবার আশায় আমি তোমাদের কাছে যেতে চেয়েছি।
14. সভ্য-অসভ্য, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সবার কাছেই আমি ঋণী।
15. সেইজন্য তোমরা যারা রোমে আছ তোমাদের কাছেও ঈসা মসীহের বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করতে আমি আগ্রহী।
16. ঈসা মসীহের বিষয়ে এই যে সুসংবাদ তাতে আমার কোন লজ্জা নেই, কারণ এই সুসংবাদই হল আল্লাহ্র শক্তি যার দ্বারা তিনি সব ঈমানদারদের নাজাত করেন্ত প্রথমে ইহুদীদের, তারপর অ-ইহুদীদের।
17. আল্লাহ্ কেমন করে মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন সেই কথা এই সুসংবাদের মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেবল ঈমান আনবার মধ্য দিয়েই মানুষকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয়। পাক-কিতাবে লেখা আছে, “যাকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হয় সে ঈমান আনবার মধ্য দিয়েই জীবন পাবে।”
18. মানুষ আল্লাহ্র সত্যকে অন্যায় দিয়ে চেপে রাখে, আর তাই তাঁর প্রতি ভয়ের অভাব ও সমস্ত অন্যায় কাজের জন্য বেহেশত থেকে মানুষের উপর আল্লাহ্র গজব প্রকাশ পেয়ে থাকে।
19. আল্লাহ্ সম্বন্ধে যা জানা যেতে পারে তা মানুষের কাছে স্পষ্ট, কারণ আল্লাহ্ নিজেই তাদের কাছে তা প্রকাশ করেছেন।
20. আল্লাহ্র যে সব গুণ চোখে দেখতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তাঁর চিরস্থায়ী ক্ষমতা ও তাঁর খোদায়ী স্বভাব সৃষ্টির শুরু থেকেই পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। তাঁর সৃষ্টি থেকেই মানুষ তা খুব বুঝতে পারে। এর পরে মানুষের আর কোন অজুহাত নেই।
21. মানুষ তাঁর সম্বন্ধে জানবার পরেও আল্লাহ্ হিসাবে তাঁর প্রশংসাও করে নি, তাঁকে কৃতজ্ঞতাও জানায় নি। তাদের চিন্তাশক্তি অসার হয়ে গেছে এবং তাদের বুদ্ধিহীন দিল অন্ধকারে পূর্ণ হয়েছে।
22. যদিও তারা নিজেদের জ্ঞানী বলে দাবি করেছে তবুও আসলে তারা মুর্খই হয়েছে।