8. আপনারা তো আল্লাহ্র দেওয়া হুকুমগুলো বাদ দিয়ে মানুষের দেওয়া চলতি নিয়ম পালন করছেন।”
9. ঈসা তাঁদের আরও বললেন, “আল্লাহ্র হুকুম বাদ দিয়ে নিজেদের চলতি নিয়ম পালন করবার জন্য খুব ভাল উপায়ই আপনাদের জানা আছে।
10. যেমন ধরুন, মূসা বলেছেন, ‘মা-বাবাকে সম্মান কোরো’ এবং ‘যার কথায় মা-বাবার প্রতি অসম্মান থাকে তাকে অবশ্যই মেরে ফেলতে হবে।’
11. কিন্তু আপনারা বলে থাকেন, যদি কেউ তার মা কিংবা বাবাকে বলে, ‘আমার যে জিনিসের দ্বারা তোমার সাহায্য হতে পারত তা কোরবান,’ অর্থাৎ আল্লাহ্র কাছে কোরবানী করা হয়েছে,
12. তবে মা-বাবার জন্য তাকে আর কিছু করতে হয় না।
13. এইভাবে আপনারা আপনাদের চলতি নিয়ম শিক্ষা দিয়ে আল্লাহ্র কালাম বাতিল করেছেন। এছাড়া আপনারা আরও এই রকম অনেক কাজ করে থাকেন।”
14. এর পরে ঈসা লোকদের আবার তাঁর কাছে ডেকে বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথা শুনুন ও বুঝুন।
15-16. বাইরে থেকে যা মানুষের ভিতরে যায় তা মানুষকে নাপাক করতে পারে না, বরং মানুষের মধ্য থেকে যা বের হয়ে আসে তা-ই মানুষকে নাপাক করে।”
17. এর পরে ঈসা যখন লোকদের ছেড়ে ঘরে ঢুকলেন, তখন সাহাবীরা সেই কথার মানে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন।
18. ঈসা তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এতই অবুঝ? তোমরা কি বোঝ না যে, বাইরে থেকে যা মানুষের ভিতরে ঢোকে তা তাকে নাপাক করতে পারে না?
19. এর কারণ হল, তা তো তার অন্তরে ঢোকে না কিন্তু পেটে ঢোকে এবং পরে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।” এই কথাতেই ঈসা বুঝিয়ে দিলেন যে, সব খাবারই হালাল।
20. ঈসা আরও বললেন, “মানুষের ভিতর থেকে যা বের হয়ে আসে তা-ই মানুষকে নাপাক করে,
21. কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই খারাপ চিন্তা, সমস্ত রকম জেনা, চুরি, খুন,
22. লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লমপটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে।
23. এই সব খারাপী মানুষের ভিতর থেকেই বের হয়ে আসে এবং মানুষকে নাপাক করে।”