20. ঈসা আরও বললেন, “মানুষের ভিতর থেকে যা বের হয়ে আসে তা-ই মানুষকে নাপাক করে,
21. কারণ মানুষের ভিতর, অর্থাৎ অন্তর থেকেই খারাপ চিন্তা, সমস্ত রকম জেনা, চুরি, খুন,
22. লোভ, অন্যের ক্ষতি করবার ইচ্ছা, ছলনা, লমপটতা, হিংসা, নিন্দা, অহংকার এবং মূর্খতা বের হয়ে আসে।
23. এই সব খারাপী মানুষের ভিতর থেকেই বের হয়ে আসে এবং মানুষকে নাপাক করে।”
24. এর পরে ঈসা সেই জায়গা ছেড়ে টায়ার এলাকায় গেলেন। তিনি একটা ঘরে ঢুকলেন এবং চাইলেন যেন কেউ তা জানতে না পারে, কিন্তু তিনি লুকিয়ে থাকতে পারলেন না।
25. সেখানে এমন একজন স্ত্রীলোক ছিল যার মেয়েকে ভূতে পেয়েছিল। সেই স্ত্রীলোকটি ঈসার বিষয় শুনতে পেয়ে তখনই এসে ঈসার পায়ে পড়ল।
26. স্ত্রীলোকটি ছিল অ-ইহুদী এবং সিরিয়া-ফিনিশিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছিল। সে ঈসার কাছে কাকুতি-মিনতি করতে লাগল যেন তিনি তার মেয়েটির মধ্য থেকে ভূত দূর করে দেন।
27. ঈসা তাকে বললেন, “আগে ছেলেমেয়েরা পেট ভরে খাক, কারণ ছেলেমেয়েদের খাবার নিয়ে কুকুরের সামনে ফেলা ভাল নয়।”
28. তাতে সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “হুজুর, আপনি ঠিকই বলেছেন, কিন্তু ছেলেমেয়েদের খাবারের যে সব টুকরা টেবিলের নীচে পড়ে তা তো কুকুরেই খায়।”
29. ঈসা তাকে বললেন, “কথাটা তুমি খুব ভাল বলেছ। এখন যাও; গিয়ে দেখ, ভূত তোমার মেয়েটির মধ্য থেকে বের হয়ে গেছে।”