13. ঈসা অনুমতি দিলে পর সেই ভূতেরা বের হয়ে শূকরগুলোর মধ্যে গেল। তাতে সমস্ত শূকর ঢালু পার দিয়ে জোরে দৌড়ে গেল এবং সাগরের মধ্যে পড়ে ডুবে মরল। সেই পালের মধ্যে প্রায় দু’হাজার শূকর ছিল।
14. যারা শূকর চরাচ্ছিল তারা তখন পালিয়ে গিয়ে গ্রামে এবং তার আশেপাশের সব জায়গায় এই খবর দিল। তখন লোকেরা দেখতে আসল কি হয়েছে।
15. তারা ঈসার কাছে এসে দেখল, যাকে অনেকগুলো ভূতে পেয়েছিল সেই লোকটা কাপড়-চোপড় পরে সুস্থ মনে বসে আছে। এ দেখে লোকেরা ভয় পেল।
16. এই ঘটনা যারা দেখেছিল তারা সেই ভূতে পাওয়া লোকটার বিষয় ও সেই শূকরগুলোর বিষয় লোকদের জানাল।
17. এতে লোকেরা ঈসাকে অনুরোধ করতে লাগল যেন তিনি তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যান।
18. ঈসা যখন নৌকায় উঠছিলেন তখন যাকে ভূতে পেয়েছিল সেই লোকটি তাঁর সংগে যাবার জন্য মিনতি করতে লাগল।
19. কিন্তু ঈসা তাঁকে এই বলে বিদায় করলেন, “তুমি তোমার বাড়ীতে ফিরে যাও এবং মাবুদ তোমার জন্য কত বড় কাজ করেছেন ও তোমার উপর কত দয়া দেখিয়েছেন তা গিয়ে তোমার বাড়ীর লোকদের বল।”
20. লোকটি তখন চলে গেল এবং ঈসা তার জন্য কত বড় কাজ করেছেন তা দেকাপলি এলাকায় বলে বেড়াতে লাগল। তাতে সবাই আশ্চর্য হল।
21. ঈসা যখন নৌকায় করে আবার সাগরের অন্য পারে গেলেন তখন তাঁর চারপাশে অনেক লোক এসে ভিড় করল। তিনি তখনও সাগরের পারে ছিলেন।
22. সেই সময় যায়ীর নামে ইহুদী মজলিস-খানার একজন নেতা সেখানে আসলেন এবং ঈসাকে দেখে তাঁর পায়ের উপর উবুড় হয়ে পড়লেন।
23. তিনি ঈসাকে মিনতি করে বললেন, “আমার মেয়েটা মারা যাবার মত হয়েছে। আপনি এসে তার উপর আপনার হাত রাখুন; তাতে সে সুস্থ হয়ে উঠবে।”
24. তখন ঈসা তাঁর সংগে চললেন। অনেক লোক ঈসার সংগে সংগে যাচ্ছিল এবং তাঁর চারপাশে ঠেলাঠেলি করছিল।
25. সেই ভিড়ের মধ্যে একজন স্ত্রীলোক ছিল যে বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল।