ওল্ড টেস্টামেন্ট

নববিধান

মার্ক 4:25-41 Kitabul Mukkadas (MBCL)

25. যার আছে তাকে আরও দেওয়া হবে, কিন্তু যার নেই তার যা আছে তা-ও তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে।”

26. ঈসা আরও বললেন, “আল্লাহ্‌র রাজ্য এই রকম: একজন লোক জমিতে বীজ ছড়াল।

27. পরে সে রাতে ঘুমিয়ে ও দিনে জেগে থেকে সময় কাটাল। এর মধ্যে সেই বীজ থেকে চারা গজিয়ে বড় হল, কিন্তু কিভাবে হল তা সে জানল না।

28. জমি নিজে নিজেই ফল জন্মাল- প্রথমে চারা, পরে শীষ এবং শীষের মাথায় পরিপূর্ণ শস্যের দানা।

29. দানা পাকলে পর সে কাসে- লাগাল, কারণ ফসল কাটবার সময় হয়েছে।”

30. তারপর ঈসা বললেন, “কিসের সংগে আমরা আল্লাহ্‌র রাজ্যের তুলনা করব? কোন্‌ দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে তা বুঝাব?

31. সেই রাজ্য একটা সরিষা দানার মত। জমিতে বুনবার সময় দেখা যায় যে, ওটা সব বীজের মধ্যে সবচেয়ে ছোট।

32. কিন্তু লাগাবার পর যখন গাছ বেড়ে ওঠে তখন সমস্ত শাক-সব্‌জির মধ্যে ওটা সবচেয়ে বড় হয়, আর এমন বড় বড় ডাল বের হয় যে, পাখীরাও তার আড়ালে বাসা বাঁধে।”

33. এই রকম আরও অনেক গল্পের মধ্য দিয়ে ঈসা আল্লাহ্‌র কালাম লোকদের কাছে বলতেন। তারা যতটুকু বুঝতে পারত ততটুকুই তিনি তাদের কাছে বলতেন।

34. গল্প ছাড়া তিনি তাদের শিক্ষা দিতেন না, কিন্তু সাহাবীরা যখন তাঁর সংগে একা থাকতেন তখন তিনি সব কিছু তাঁদের বুঝিয়ে দিতেন।

35. সেই দিন সন্ধ্যাবেলা ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “চল, আমরা সাগরের ওপারে যাই।”

36. তখন সাহাবীরা লোকদের ছেড়ে ঈসা যে নৌকায় ছিলেন সেই নৌকাতে করে তাঁকে নিয়ে চললেন। অবশ্য সেখানে আরও অন্য নৌকাও ছিল।

37. নৌকা যখন চলছিল তখন একটা ভীষণ ঝড় উঠল এবং ঢেউগুলো নৌকার উপর এমনভাবে আছড়ে পড়ল যে, নৌকা পানিতে ভরে উঠতে লাগল।

38. ঈসা কিন্তু নৌকার পিছন দিকে একটা বালিশের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছিলেন। সাহাবীরা তাঁকে জাগিয়ে বললেন, “হুজুর, আমরা যে মারা পড়ছি সেদিকে কি আপনার খেয়াল নেই?”

39. ঈসা উঠে বাতাসকে ধমক দিলেন এবং সাগরকে বললেন, “থাম, শান্ত হও।” তাতে বাতাস থেমে গেল ও সব কিছু খুব শান্ত হয়ে গেল।

40. তিনি সাহাবীদের বললেন, “তোমরা ভয় পাও কেন? এখনও কি তোমাদের বিশ্বাস হয় নি?”

41. এতে সাহাবীরা ভীষণ ভয় পেলেন এবং নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “ইনি কে যে, বাতাস এবং সাগরও তাঁর কথা শোনে?”

সম্পূর্ণ অধ্যায় পড়ুন মার্ক 4