1. এর পরে ঈসা আবার মজলিস-খানায় গেলেন। সেখানে একজন লোক ছিল যার একটা হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
2. ফরীশীদের মধ্যে কয়েকজন ঈসাকে দোষ দেবার অজুহাত খুঁজছিলেন। বিশ্রামবারে ঈসা লোকটাকে সুস্থ করেন কি না তা দেখবার জন্য তাঁরা তাঁর উপর ভাল করে নজর রাখতে লাগলেন।
3. ঈসা সেই শুকনা-হাত লোকটিকে বললেন, “সকলের সামনে এসে দাঁড়াও।”
4. তারপর ঈসা ফরীশীদের জিজ্ঞাসা করলেন, “বিশ্রামবারে ভাল কাজ করা উচিত, না খারাপ কাজ করা উচিত? প্রাণ রক্ষা করা উচিত, না নষ্ট করা উচিত?”ফরীশীরা কিন্তু কোনই জবাব দিলেন না।
5. তখন ঈসা বিরক্ত হয়ে তাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন এবং তাঁদের অন্তরের কঠিনতার জন্য গভীর দুঃখের সংগে সেই লোকটিকে বললেন, “তোমার হাত বাড়িয়ে দাও।”লোকটি হাত বাড়িয়ে দিলে পর তার হাত একেবারে ভাল হয়ে গেল।
6. তখন ফরীশীরা বাইরে গেলেন এবং কিভাবে ঈসাকে হত্যা করা যায় সেই বিষয়ে বাদশাহ্ হেরোদের দলের লোকদের সংগে পরামর্শ করতে লাগলেন।
7-8. এর পরে ঈসা তাঁর সাহাবীদের সংগে সাগরের ধারে গেলেন। গালীল প্রদেশের অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে চলল। ঈসা যে সব কাজ করছিলেন সেগুলোর কথা শুনে এহুদিয়া, জেরুজালেম, ইদোম, জর্ডান নদীর ওপার এবং টায়ার ও সিডন শহরের চারদিক থেকে অনেক লোক তাঁর কাছে আসল।
9. ঈসা নিজের জন্য একটা ছোট নৌকা তাঁর সাহাবীদের ঠিক করে রাখতে বললেন যেন ভিড়ের দরুন লোকে চাপাচাপি করে তাঁর উপর না পড়ে।
10. তিনি অনেক লোককে সুস্থ করেছিলেন বলে রোগীরা তাঁকে ছোঁবার জন্য ঠেলাঠেলি করছিল।
11. ভূতেরা যখনই তাঁকে দেখত তখনই তাঁর সামনে মাটিতে পড়ে চিৎকার করে বলত, “আপনিই ইব্নুল্লাহ্।”
12. কিন্তু তিনি খুব কড়াভাবে তাদের হুকুম দিতেন যেন তারা কাউকে না বলে তিনি কে।
13-15. এর পরে ঈসা পাহাড়ের উপরে উঠলেন এবং নিজের ইচ্ছামত কিছু লোককে তাঁর কাছে ডেকে নিলেন। তাঁরা ঈসার কাছে আসলে পর তিনি বারোজনকে সাহাবী-পদে নিযুক্ত করলেন যেন তাঁরা তাঁর সংগে সংগে থাকেন এবং ভূত ছাড়াবার ক্ষমতা দিয়ে তিনি তাঁদের তবলিগ-কাজে পাঠাতে পারেন।
16. যে বারোজনকে তিনি নিযুক্ত করেছিলেন তাঁরা হলেন শিমোন, যাঁর নাম তিনি দিলেন পিতর;