6. সেই যুবকটি বললেন, “অবাক হয়ো না। নাসরত গ্রামের ঈসা, যাঁকে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছিল, তাঁকেই তোমরা খুঁজছো তো? তিনি এখানে নেই, তিনি জীবিত হয়ে উঠেছেন। যেখানে তারা তাঁকে রেখেছিল সেই জায়গা দেখ।
7. তারপর তোমরা গিয়ে তাঁর সাহাবীদের ও পিতরকে এই কথা বল যে, তিনি তাদের আগে গালীলে যাচ্ছেন। তিনি যেমন বলেছিলেন তেমনই তারা তাঁকে সেখানে দেখতে পাবে।”
8. সেই স্ত্রীলোকেরা কিছু বুঝতে না পেরে কাঁপতে কাঁপতে কবরের গুহা থেকে বের হয়ে আসলেন এবং সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। তাঁরা এত ভয় পেয়েছিলেন যে, কাউকে কিছু বললেন না।
9. সপ্তার প্রথম দিনের ভোর বেলায় ঈসা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন। পরে তিনি মগ্দলীনী মরিয়মকে প্রথমে দেখা দিলেন। এই মরিয়মের ভিতর থেকে ঈসা সাতটা ভূত ছাড়িয়েছিলেন।
10. তাঁকে দেখবার পর মরিয়ম গিয়ে যাঁরা ঈসার সংগে থাকতেন তাঁদের কাছে খবর দিলেন। সেই সময় তাঁরা মনের দুঃখে কাঁদছিলেন।
11. ঈসা জীবিত হয়েছেন ও মরিয়ম তাঁকে দেখেছেন, এই কথা শুনে তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
12. এর পরে তাঁর দু’জন সাহাবী যখন হেঁটে গ্রামের দিক যাচ্ছিলেন তখন ঈসা অন্য রকম চেহারায় তাঁদের দেখা দিলেন।
13. তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকী সবাইকে সেই খবর দিলেন, কিন্তু তাঁদের কথাও অন্য সাহাবীরা বিশ্বাস করলেন না।
14. এর পরে ঈসা তাঁর এগারোজন সাহাবীকে দেখা দিলেন। তখন তাঁরা খাচ্ছিলেন। বিশ্বাসের অভাব ও অন্তরের কঠিনতার জন্য তিনি তাঁদের বকলেন, কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পরে যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করেন নি।
15. ঈসা সেই সাহাবীদের বললেন, “তোমরা দুনিয়ার সব জায়গায় যাও এবং সব লোকদের কাছে আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ কর।
16. যে কেউ ঈমান আনে এবং তরিকাবন্দী নেয় সে-ই নাজাত পাবে; কিন্তু যে ঈমান আনে না আল্লাহ্ তাঁকে দোষী বলে স্থির করে শাস্তি দেবেন।
17. যারা ঈমান আনে তাদের মধ্যে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে- আমার নামে তারা ভূত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে,