10. তাঁকে দেখবার পর মরিয়ম গিয়ে যাঁরা ঈসার সংগে থাকতেন তাঁদের কাছে খবর দিলেন। সেই সময় তাঁরা মনের দুঃখে কাঁদছিলেন।
11. ঈসা জীবিত হয়েছেন ও মরিয়ম তাঁকে দেখেছেন, এই কথা শুনে তাঁরা বিশ্বাস করলেন না।
12. এর পরে তাঁর দু’জন সাহাবী যখন হেঁটে গ্রামের দিক যাচ্ছিলেন তখন ঈসা অন্য রকম চেহারায় তাঁদের দেখা দিলেন।
13. তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকী সবাইকে সেই খবর দিলেন, কিন্তু তাঁদের কথাও অন্য সাহাবীরা বিশ্বাস করলেন না।
14. এর পরে ঈসা তাঁর এগারোজন সাহাবীকে দেখা দিলেন। তখন তাঁরা খাচ্ছিলেন। বিশ্বাসের অভাব ও অন্তরের কঠিনতার জন্য তিনি তাঁদের বকলেন, কারণ তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবার পরে যাঁরা তাঁকে দেখেছিলেন তাঁদের কথা তাঁরা বিশ্বাস করেন নি।
15. ঈসা সেই সাহাবীদের বললেন, “তোমরা দুনিয়ার সব জায়গায় যাও এবং সব লোকদের কাছে আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ কর।
16. যে কেউ ঈমান আনে এবং তরিকাবন্দী নেয় সে-ই নাজাত পাবে; কিন্তু যে ঈমান আনে না আল্লাহ্ তাঁকে দোষী বলে স্থির করে শাস্তি দেবেন।
17. যারা ঈমান আনে তাদের মধ্যে এই চিহ্নগুলো দেখা যাবে- আমার নামে তারা ভূত ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে,
18. তারা হাতে করে সাপ তুলে ধরবে, যদি তারা ভীষণ বিষাক্ত কিছু খায় তবে তাদের কোন ক্ষতি হবে না, আর তারা রোগীদের গায়ে হাত দিলে রোগীরা ভাল হবে।”
19. সাহাবীদের কাছে এই সব কথা বলবার পরে হযরত ঈসাকে বেহেশতে তুলে নেওয়া হল। সেখানে তিনি আল্লাহ্র ডান দিকে বসলেন।
20. পরে সাহাবীরা গিয়ে সব জায়গায় তবলিগ করতে লাগলেন। হযরত ঈসা তাঁদের মধ্য দিয়ে তাঁদের সংগে কাজ করতে থাকলেন এবং তাঁদের অলৌকিক কাজ করবার শক্তি দিয়ে প্রমাণ করলেন যে, তাঁরা যা তবলিগ করছেন তা সত্যি। ॥ভব