51. একজন যুবক কেবল একটা চাদর পরে ঈসার পিছনে পিছনে যাচ্ছিল।
52. লোকেরা যখন তাকে ধরল তখন সে চাদরখানা ছেড়ে দিয়ে উলংগ অবস্থায় পালিয়ে গেল।
53. সেই লোকেরা ঈসাকে নিয়ে মহা-ইমামের কাছে গেল। সেখানে প্রধান ইমামেরা, বৃদ্ধ নেতারা ও আলেমেরা একসংগে জমায়েত হলেন।
54. পিতর দূরে দূরে থেকে ঈসার পিছনে যেতে যেতে মহা-ইমামের উঠানে গিয়ে ঢুকলেন। সেখানে রক্ষীদের সংগে বসে তিনি আগুন পোহাতে লাগলেন।
55. প্রধান ইমামেরা এবং মহাসভার সমস্ত লোকেরা ঈসাকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের খোঁজ করছিলেন, কিন্তু কোন সাক্ষ্যই তাঁরা পেলেন না।
56. ঈসার বিরুদ্ধে অনেকেই মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিলল না।
57. তখন কয়েকজন উঠে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল,
58. “আমরা ওকে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরী এই এবাদত-খানা আমি ভেংগে ফেলব এবং তিন দিনের মধ্যে এমন একটা এবাদত-খানা তৈরী করব যা মানুষের তৈরী নয়।’ ”
59. কিন্তু তবুও তাদের সাক্ষ্য মিলল না।
60. তখন মহা-ইমাম সকলের সামনে দাঁড়িয়ে ঈসাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি কোন জবাবই দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এই লোকেরা এই সব কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?”
61. ঈসা কিন্তু জবাব না দিয়ে চুপ করেই রইলেন।মহা-ইমাম আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি গৌরবময় আল্লাহ্র পুত্র মসীহ্?”