14. সে যে বাড়ীতে ঢুকবে সেই বাড়ীর কর্তাকে বোলো, ‘ওস্তাদ বলছেন, সাহাবীদের সংগে যেখানে আমি উদ্ধার-ঈদের মেজবানী খেতে পারি আমার সেই মেহমান্তখানাটা কোথায়?’
15. এতে সে তোমাদের উপরতলার একটা সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে। সব কিছু সেখানেই প্রস্তুত কোরো।”
16. তখন সাহাবীরা গিয়ে শহরে ঢুকলেন, আর ঈসা যেমন বলেছিলেন সব কিছু তেমনই দেখতে পেলেন এবং উদ্ধার-ঈদের মেজবানী প্রস্তুত করলেন।
17. সন্ধ্যা হলে পর ঈসা সেই বারোজনকে নিয়ে সেখানে গেলেন।
18. তাঁরা যখন বসে খাচ্ছিলেন তখন ঈসা বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে ধরিয়ে দেবে, আর সে আমার সংগে খাচ্ছে।”
19. সাহাবীরা দুঃখিত হলেন এবং একজনের পরে আর একজন বলতে লাগলেন, “সে কি আমি, হুজুর?”
20. ঈসা তাঁদের বললেন, “সে এই বারোজনের মধ্যে একজন, যে আমার সংগে পাত্রের মধ্যে রুটি ডুবাচ্ছে।
21. ইব্ন্তেআদমের মৃত্যুর বিষয়ে পাক-কিতাবে যা লেখা আছে তিনি সেভাবেই মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে তাঁকে ধরিয়ে দেয়! সেই লোকের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।”
22. খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় ঈসা রুটি নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন এবং তা টুকরা টুকরা করে সাহাবীদের হাতে দিয়ে বললেন, “এই নাও, এটা আমার শরীর।”
23. তারপর তিনি পেয়ালা নিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন এবং সাহাবীদের দিলেন। তাঁরা সবাই সেই পেয়ালা থেকে খেলেন।
24. তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত যা অনেকের জন্য দেওয়া হবে। মানুষের জন্য আল্লাহ্র নতুন ব্যবস্থা আমার এই রক্তের দ্বারাই বহাল করা হবে।
25. তোমাদের সত্যি বলছি, যতদিন আমি আল্লাহ্র রাজ্যে আংগুর ফলের রস আবার নতুন ভাবে না খাই ততদিন পর্যন্ত আর আমি তা খাব না।”