21. সেই সময় যদি কেউ তোমাদের বলে, ‘দেখ, মসীহ্ এখানে,’ বা ‘দেখ, মসীহ্ ওখানে,’ তোমরা বিশ্বাস কোরো না;
22. কারণ ভণ্ড মসীহেরা ও ভণ্ড নবীরা আসবে এবং চিহ্ন ও কুদরতি দেখাবে, যেন আল্লাহ্র বাছাই করা বান্দাদের সম্ভব হলে ঠকাতে পারে।
23. তোমরা কিন্তু সতর্ক থেকো। আমি তোমাদের আগেই সব কিছু বলে রাখলাম।
24. “সেই সময়ের কষ্টের ঠিক পরেই সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না,
25. তারাগুলো আসমান থেকে খসে পড়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা আর স্থির থাকবে না।
26. সেই সময়ে লোকেরা ইব্ন্তেআদমকে মহাশক্তি ও মহিমার সংগে মেঘের মধ্যে দুনিয়াতে আসতে দেখবে।
27. তিনি তাঁর ফেরেশতাদের পাঠিয়ে দুনিয়ার এক সীমা থেকে অন্য সীমা পর্যন্ত চারদিক থেকে আল্লাহ্র সব বাছাই করা বান্দা জমায়েত করবেন।
28. “ডুমুর গাছ দেখে শিক্ষা লাভ কর। যখন তার ডালপালা নরম হয়ে তাতে পাতা বের হয় তখন তোমরা জানতে পার যে, গরমকাল এসেছে।
29. সেইভাবে যখন তোমরা দেখবে এই সব ঘটছে তখন বুঝতে পারবে যে, ইব্ন্তেআদম কাছে এসে গেছেন, এমন কি, দরজায় উপস্থিত।
30. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যখন এই সব হবে তখনও এই কালের কিছু লোক বেঁচে থাকবে।
31. আসমান ও জমীন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার কথা চিরদিন থাকবে।
32. “সেই দিন ও সেই সময়ের কথা কেউই জানে না- বেহেশতের ফেরেশতারাও না, পুত্রও না, কেবল পিতাই জানেন।
33. তোমরা সাবধান হও, সতর্ক থাক ও মুনাজাত কর, কারণ সেই দিন কখন আসবে তা তোমরা জান না।
34. সেই দিনটা আসবে এমন একজন লোকের মত করে যিনি বিদেশে যাচ্ছেন। বাড়ী ছেড়ে যাবার আগে তিনি গোলামদের হাতে সব দায়িত্ব দিলেন। তিনি প্রত্যেক গোলামকে তার কাজ দিলেন এবং দারোয়ানকে জেগে থাকতে বললেন।
35. “তোমরাও এইভাবে জেগে থাক, কারণ বাড়ীর কর্তা সন্ধ্যায়, কি দুপুর রাতে, কি ভোর রাতে, কি সকালে আসবেন তা তোমরা জান না।
36. হঠাৎ তিনি এসে যেন না দেখেন তোমরা ঘুমিয়ে রয়েছ।