15. আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ছোট ছেলেমেয়ের মত করে আল্লাহ্র শাসন মেনে না নিলে কেউ কোনমতেই আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।”
16. তারপর ঈসা সেই ছেলেমেয়েদের কোলে নিলেন এবং তাদের মাথায় হাত রেখে দোয়া করলেন।
17. ঈসা আবার যখন পথে বের হলেন তখন একজন লোক দৌড়ে তাঁর কাছে আসল এবং তাঁর সামনে হাঁটু পেতে বলল, “হে ওস্তাদ, আপনি একজন ভাল লোক। আমাকে বলুন, অনন্ত জীবন লাভ করবার জন্য আমি কি করব?”
18. ঈসা তাকে বললেন, “আমাকে ভাল বলছ কেন? আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউই ভাল নয়।
19. তুমি তো হুকুমগুলো জান্ত ‘খুন কোরো না, জেনা কোরো না, চুরি কোরো না, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ো না, ঠকিয়ো না, পিতা-মাতাকে সম্মান কোরো।’ ”
20. লোকটি ঈসাকে বলল, “ওস্তাদ, ছোটবেলা থেকে আমি এই সব পালন করে আসছি।”
21. এতে ঈসা তার দিকে চেয়ে দেখলেন এবং মহব্বতে পূর্ণ হয়ে তাকে বললেন, “একটা জিনিস তোমার বাকী আছে। যাও, তোমার যা কিছু আছে তা বিক্রি করে গরীবদের দান কর। তাতে তুমি বেহেশতে ধন পাবে। তার পরে এসে আমার উম্মত হও।”
22. এই কথা শুনে লোকটির মুখ ্নান হয়ে গেল। তার অনেক ধন-সম্পত্তি ছিল বলে সে দুঃখিত হয়ে চলে গেল।
23. তখন ঈসা চারদিকে তাকিয়ে তাঁর সাহাবীদের বললেন, “ধনীদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢোকা কত কঠিন!”
24. সাহাবীরা তাঁর কথা শুনে আশ্চর্য হলেন। ঈসা আবার বললেন, “সন্তানেরা, যারা ধন-সম্পদের উপর নির্ভর করে তাদের পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢোকা কত কঠিন।
25. ধনীর পক্ষে আল্লাহ্র রাজ্যে ঢুকবার চেয়ে বরং সূচের ফুটা দিয়ে উটের যাওয়া সহজ।”
26. এতে সাহাবীরা আরও আশ্চর্য হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “তাহলে কে নাজাত পেতে পারে?”
27. ঈসা তাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “মানুষের পক্ষে এটা অসম্ভব বটে, কিন্তু আল্লাহ্র পক্ষে অসম্ভব নয়; তাঁর পক্ষে সবই সম্ভব।”
28. পিতর তাঁকে বললেন, “দেখুন, আমরা তো সব কিছু ছেড়ে দিয়ে আপনার সাহাবী হয়েছি।”
29. জবাবে ঈসা বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে কেউ আমার জন্য ও আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদের জন্য বাড়ী-ঘর, ভাই-বোন, মা-বাবা, ছেলে-মেয়ে ও জায়গা-জমি ছেড়ে দিয়েছে,
30. সে এই যুগেই তার একশো গুণ বেশী বাড়ী-ঘর, ভাই-বোন, মা, ছেলে-মেয়ে ও জায়গা-জমি পাবে এবং সংগে সংগে অত্যাচারও ভোগ করবে; আর আগামী যুগে সে অনন্ত জীবন লাভ করবে।
31. কিন্তু যারা প্রথম সারিতে আছে তাদের মধ্যে অনেকে শেষে পড়বে, আর যারা শেষ সারিতে আছে তাদের মধ্যে অনেকে প্রথম হবে।”
32. এর পরে ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা জেরুজালেমের পথে চললেন। ঈসা তাঁদের আগে আগে হাঁটছিলেন; সাহাবীরা অবাক হয়ে তাঁর সংগে যাচ্ছিলেন এবং যে লোকেরা পিছনে আসছিল তারা ভয়ে ভয়ে হাঁটছিল। ঈসা আবার তাঁর বারোজন সাহাবীকে একপাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে নিজের উপর কি হতে যাচ্ছে তা তাঁদের বলতে লাগলেন।