4. সেই কথামতই হযরত ইয়াহিয়া মরুভূমিতে গিয়ে লোকদের তরিকাবন্দী দিচ্ছিলেন এবং তবলিগ করছিলেন যেন লোকে গুনাহের মাফ পাবার জন্য তওবা করে ও তরিকাবন্দী নেয়।
5. তাতে এহুদিয়া প্রদেশ ও জেরুজালেম শহরের সবাই বের হয়ে ইয়াহিয়ার কাছে আসতে লাগল। তারা যখন গুনাহ্ স্বীকার করল তখন ইয়াহিয়া জর্ডান নদীতে তাদের তরিকাবন্দী দিলেন।
6. ইয়াহিয়া উটের লোমের কাপড় পরতেন এবং তাঁর কোমরে চামড়ার কোমর-বাঁধনি ছিল। তিনি পংগপাল আর বনমধু খেতেন।
7. তিনি যা তবলিগ করতেন তা এই, “আমার পরে একজন আসছেন। তিনি আমার চেয়ে শক্তিশালী। উবুড় হয়ে তাঁর জুতার ফিতা খুলবার যোগ্যও আমি নই।
8. আমি তোমাদের পানিতে তরিকাবন্দী দিচ্ছি কিন্তু তিনি পাক-রূহে তোমাদের তরিকাবন্দী দেবেন।”
9. সেই সময়ে ঈসা গালীল প্রদেশের নাসরত গ্রাম থেকে আসলেন, আর ইয়াহিয়া তাঁকে জর্ডান নদীতে তরিকাবন্দী দিলেন।
10. পানি থেকে উঠে আসবার সংগে সংগেই ঈসা দেখলেন, আসমান চিরে গেছে এবং পাক-রূহ্ কবুতরের মত হয়ে তাঁর উপর নেমে আসছেন।
11. সেই সময় আসমান থেকে এই কথা শোনা গেল, “তুমিই আমার প্রিয় পুত্র, তোমার উপর আমি খুবই সন্তুষ্ট।”
12. এর পরেই ঈসাকে পাক-রূহের পরিচালনায় মরুভূমিতে যেতে হল।
13. সেই মরুভূমিতে চল্লিশ দিন ধরে শয়তান ঈসাকে লোভ দেখিয়ে গুনাহে ফেলবার চেষ্টা করতে লাগল। সেখানে অনেক বুনো জন্তু ছিল, আর ফেরেশতারা ঈসার সেবা করতেন।
14. ইয়াহিয়া জেলখানায় বন্দী হবার পরে ঈসা গালীল প্রদেশে গেলেন। সেখানে তিনি এই কথা বলে আল্লাহ্র দেওয়া সুসংবাদ তবলিগ করতে লাগলেন,
15. “সময় হয়েছে, আল্লাহ্র রাজ্য কাছে এসে গেছে। আপনারা তওবা করুন এবং এই সুসংবাদের উপর ঈমান আনুন।”
16. একদিন ঈসা গালীল সাগরের পার দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি শিমোন ও তাঁর ভাই আন্দ্রিয়কে সাগরে জাল ফেলতে দেখলেন। সেই দু’জন ছিলেন জেলে।
17. ঈসা তাঁদের বললেন, “আমার সংগে চল। আমি তোমাদের মানুষ-ধরা জেলে করব।”
18. তখনই তাঁরা জাল ফেলে রেখে ঈসার সংগে গেলেন।
19. সেখান থেকে কিছু দূরে গেলে পর তিনি সিবদিয়ের দুই ছেলে ইয়াকুব ও ইউহোন্নাকে দেখতে পেলেন। তাঁরা তাঁদের নৌকায় বসে জাল ঠিক করছিলেন।
20. ঈসা তাঁদের দেখামাত্র ডাক দিলেন, আর তাঁরা তাঁদের বাবা সিবদিয়কে মজুরদের সংগে নৌকায় রেখে ঈসার সংগে গেলেন।
21. ঈসা ও তাঁর সাহাবীরা কফরনাহূম শহরে গেলেন। পরে বিশ্রামবারে ঈসা মজলিস-খানায় গিয়ে শিক্ষা দিতে লাগলেন।
22. লোকেরা তাঁর শিক্ষায় আশ্চর্য হয়ে গেল, কারণ তিনি আলেমদের মত শিক্ষা দিচ্ছিলেন না বরং যাঁর অধিকার আছে সেই রকম লোকের মতই শিক্ষা দিচ্ছিলেন।
23. সেই সময় ভূতে পাওয়া একজন লোক সেই মজলিস-খানার মধ্যে ছিল।