4. ঈসা তাঁদের মনের চিন্তা জেনে বললেন, “আপনারা মনে মনে খারাপ চিন্তা করছেন কেন?
5. কোন্টা বলা সহজ, ‘তোমার গুনাহ্ মাফ করা হল,’ না ‘তুমি উঠে হেঁটে বেড়াও’?
6. আপনারা যেন জানতে পারেন এই দুনিয়াতে গুনাহ্ মাফ করবার ক্ষমতা ইব্ন্তেআদমের আছে”- এই পর্যন্ত বলে তিনি সেই অবশ-রোগীকে বললেন, “ওঠো, তোমার বিছানা তুলে নিয়ে বাড়ী যাও।”
7. তখন সে উঠে তার বাড়ীতে চলে গেল।
8. লোকে এই ঘটনা দেখে ভয় পেল, আর আল্লাহ্ মানুষকে এমন ক্ষমতা দিয়েছেন বলে আল্লাহ্র প্রশংসা করতে লাগল।
9. ঈসা যখন সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন তখন পথে মথি নামে একজন লোককে খাজনা আদায় করবার ঘরে বসে থাকতে দেখলেন। ঈসা তাঁকে বললেন, “এস, আমার উম্মত হও।” মথি তখনই উঠে তাঁর সংগে গেলেন।
10. এর পরে ঈসা মথির বাড়ীতে খেতে বসলেন। তখন অনেক খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোক এসে ঈসা ও তাঁর সাহাবীদের সংগে খেতে বসল।
11. তা দেখে ফরীশীরা ঈসার সাহাবীদের বললেন, “তোমাদের ওস্তাদ খাজনা-আদায়কারী ও খারাপ লোকদের সংগে খাওয়া-দাওয়া করেন কেন?”
12. এই কথা শুনে ঈসা বললেন, “যারা সুস্থ আছে তাদের জন্য ডাক্তারের দরকার নেই, বরং অসুস্থদের জন্যই দরকার আছে।
13. ‘আমি দয়া দেখতে চাই, পশু-কোরবানী নয়’- পাক-কিতাবের এই কথার মানে কি, তা গিয়ে খুঁজে বের করুন। যারা ধার্মিক তাদের আমি ডাকতে আসি নি, বরং গুনাহ্গারদেরই ডাকতে এসেছি।”
14. পরে ইয়াহিয়ার সাহাবীরা ঈসার কাছে এসে বললেন, “আমরা ও ফরীশীরা এত রোজা রাখি, কিন্তু আপনার সাহাবীরা রোজা রাখেন না কেন?”