21. সে মনে মনে ভাবছিল, যদি সে কেবল তাঁর কাপড়টা ছুঁতে পারে তাহলেই ভাল হয়ে যাবে।
22. ঈসা ফিরে তাকে দেখতে পেয়ে বললেন, “সাহস কর। তুমি বিশ্বাস করেছ বলে ভাল হয়েছ।” সেই সময় থেকেই স্ত্রীলোকটি সুস্থ হল।
23. এর পরে ঈসা সেই ইহুদী নেতার বাড়ীতে গেলেন। সেখানে তিনি দেখলেন, যারা বাঁশী বাজায় তারা রয়েছে এবং লোকেরা হৈচৈ করছে।
24. এতে ঈসা বললেন, “তোমরা বাইরে যাও। মেয়েটি মারা যায় নি, ঘুমাচ্ছে।” এই কথা শুনে তারা হাসাহাসি করতে লাগল।
25. লোকদের বের করে দেওয়া হলে পর তিনি ভিতরে গিয়ে মেয়েটির হাত ধরলেন। তাতে সে উঠে বসল।
26. এই ঘটনার কথা সেই এলাকার সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
27. ঈসা সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাবার সময় দু’জন অন্ধ লোক তাঁর পিছনে পিছনে চলল। তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, “দাউদের বংশধর, আমাদের দয়া করুন।”
28. ঈসা ঘরে ঢুকলে পর সেই অন্ধ লোকেরা তাঁর কাছে আসল। তখন তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি এই কাজ করতে পারি?”তারা বলল, “জ্বী হুজুর, করি।”
29. তিনি তাদের চোখ ছুঁয়ে বললেন, “তোমরা যেমন বিশ্বাস করেছ তোমাদের প্রতি তেমনই হোক।”
30. আর তখনই তাদের চোখ খুলে গেল। ঈসা খুব কঠোরভাবে তাদের বললেন, “দেখো, কেউ যেন জানতে না পারে।”
31. কিন্তু তারা বাইরে গিয়ে সেই এলাকার সমস্ত জায়গায় ঈসার খবর ছড়িয়ে দিল।
32. সেই দু’জন লোক যখন চলে যাচ্ছিল তখন লোকেরা ভূতে পাওয়া একজন বোবা লোককে ঈসার কাছে আনল।
33. ঈসা সেই ভূতকে ছাড়াবার পর লোকটা কথা বলতে লাগল। তাতে সবাই আশ্চর্য হয়ে বলল, “ইসরাইল দেশে আর কখনও এই রকম দেখা যায় নি।”