5. কারণ অনেকেই আমার নাম নিয়ে এসে বলবে, ‘আমিই মসীহ্,’ এবং অনেক লোককে ঠকাবে।
6. তোমাদের কানে যুদ্ধের আওয়াজ আসবে আর যুদ্ধের খবরাখবরও তোমরা শুনতে পাবে। কিন্তু সাবধান! এতে ভয় পেয়ো না, কারণ এই সব হবেই; কিন্তু তখনও শেষ নয়।
7. এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে এবং এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অনেক জায়গায় দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকমপ হবে।
8. কিন্তু এই সব কেবল যন্ত্রণার শুরু।
9. “সেই সময়ে লোকে তোমাদের কষ্ট দেবার জন্য ধরিয়ে দেবে এবং তোমাদের খুন করবে। আমার জন্য সব লোকেরা তোমাদের ঘৃণা করবে।
10. সেই সময়ে অনেকেই পিছিয়ে যাবে এবং একে অন্যকে ধরিয়ে দেবে ও ঘৃণা করবে।
11. অনেক ভণ্ড নবী এসে অনেককে ঠকাবে।
12. দুষ্টতা বেড়ে যাবে বলে অনেকের মহব্বত খুব কমে যাবে।
13. কিন্তু যে শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে সে উদ্ধার পাবে।
14. সমস্ত জাতির কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য বেহেশতী রাজ্যের সুসংবাদ সারা দুনিয়াতে তবলিগ করা হবে এবং তার পরেই শেষ সময় উপস্থিত হবে।
15. “দানিয়াল নবীর মধ্য দিয়ে যে সর্বনাশা ঘৃণার জিনিসের কথা বলা হয়েছিল তা তোমরা পবিত্র জায়গায় রাখা হয়েছে দেখতে পাবে। (যে পড়ে সে বুঝুক।)
16. সেই সময় যারা এহুদিয়াতে থাকবে তারা পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যাক।
17. যে ছাদের উপরে থাকবে সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নেবার জন্য নীচে না নামুক।
18. ক্ষেতের মধ্যে যে থাকবে সে তার গায়ের চাদর নেবার জন্য না ফিরুক।
19. তখন যারা গর্ভবতী আর যারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদের অবস্থা কি ভীষণই না হবে!
20. মুনাজাত কর যেন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়।
21. তখন এমন মহাকষ্ট হবে যা দুনিয়ার শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত কখনও হয় নি এবং হবেও না।
22. সেই কষ্টের দিনগুলো যদি আল্লাহ্ কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই বাঁচত না। কিন্তু তাঁর বাছাই করা বান্দাদের জন্য আল্লাহ্ সেই দিনগুলো কমিয়ে দেবেন।
23. “সেই সময়ে যদি কেউ তোমাদের বলে, ‘দেখ, মসীহ্ এখানে’ কিংবা ‘দেখ,মসীহ্ ওখানে,’ তবে তা বিশ্বাস কোরো না;