20. মুনাজাত কর যেন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়।
21. তখন এমন মহাকষ্ট হবে যা দুনিয়ার শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত কখনও হয় নি এবং হবেও না।
22. সেই কষ্টের দিনগুলো যদি আল্লাহ্ কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই বাঁচত না। কিন্তু তাঁর বাছাই করা বান্দাদের জন্য আল্লাহ্ সেই দিনগুলো কমিয়ে দেবেন।
23. “সেই সময়ে যদি কেউ তোমাদের বলে, ‘দেখ, মসীহ্ এখানে’ কিংবা ‘দেখ,মসীহ্ ওখানে,’ তবে তা বিশ্বাস কোরো না;
24. কারণ তখন অনেক ভণ্ড মসীহ্ ও ভণ্ড নবী আসবে এবং বড় বড় চিহ্ন-কাজ ও কুদরতি দেখাবে যাতে সম্ভব হলে আল্লাহ্র বাছাই করা বান্দাদেরও তারা ঠকাতে পারে।
25. দেখ, আমি আগেই তোমাদের এই সব বলে রাখলাম।
26. “সেইজন্য লোকে যদি তোমাদের বলে, ‘তিনি মরুভূমিতে আছেন,’ তোমরা বাইরে যেয়ো না। যদি বলে, ‘তিনি ভিতরের ঘরে আছেন,’ বিশ্বাস কোরো না।
27. বিদ্যুৎ যেমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চম্কে যায় ইব্ন্তেআদমের আসা সেইভাবেই হবে।
28. যেখানে লাশ থাকবে সেখানেই শকুন এসে একসংগে জড়ো হবে।
29. “সেই সময়কার কষ্টের ঠিক পরেই সূর্য অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না, তারাগুলো আসমান থেকে খসে পড়ে যাবে এবং চাঁদ-সূর্য-তারা আর স্থির থাকবে না।
30. এমন সময় আসমানে ইব্ন্তেআদমের চিহ্ন দেখা দেবে। তখন দুনিয়ার সমস্ত লোক দুঃখে বুক চাপড়াবে। তারা ইব্ন্তেআদমকে শক্তি ও মহিমার সংগে মেঘে করে আসতে দেখবে।