11. লোকেরা বলল, “উনি গালীলের নাসরত গ্রামের ঈসা নবী।”
12. পরে ঈসা বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকলেন এবং সেখানে যারা কেনা-বেচা করছিল তাদের সবাইকে তাড়িয়ে দিলেন। তিনি টাকা বদল করে দেবার লোকদের টেবিল এবং যারা কবুতর বিক্রি করছিল তাদের বসবার জায়গা উল্টে দিয়ে বললেন,
13. “পাক-কিতাবে আল্লাহ্ বলেছেন, ‘আমার ঘরকে এবাদত-ঘর বলা হবে,’ কিন্তু তোমরা এটাকে ডাকাতের আড্ডাখানা করে তুলছ।”
14. এর পরে অন্ধ ও খোঁড়া লোকেরা বায়তুল-মোকাদ্দসে ঈসার কাছে আসল, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
15. তিনি যে সব অলৌকিক চিহ্ন-কাজ করছিলেন প্রধান ইমামেরা ও আলেমেরা তা দেখলেন। তাঁরা বায়তুল-মোকাদ্দসের মধ্যে ছেলেমেয়েদের চিৎকার করে বলতে শুনলেন, “মারহাবা, দাউদের বংশধর!”
16. এই সব দেখে-শুনে তারা বিরক্ত হয়ে ঈসাকে বললেন, “ওরা যা বলছে তা তুমি শুনতে পাচ্ছ?”তিনি তাঁদের বললেন, “জ্বী, পাচ্ছি। পাক-কিতাবে আপনারা কি কখনও পড়েন নি:ছোট ছেলেমেয়ে এবং শিশুদের কথার মধ্যেতুমি নিজের জন্য প্রশংসার ব্যবস্থা করেছ?”
17. এর পরে ঈসা তাঁদের ছেড়ে শহরের বাইরে বেথানিয়া গ্রামে চলে গেলেন এবং সেখানেই রাতটা কাটালেন।
18. পরদিন সকালে শহরে ফিরে আসবার সময় ঈসার খিদে পেল।
19. পথের পাশে একটা ডুমুর গাছ দেখে তিনি গাছটার কাছে গেলেন, কিন্তু তাতে পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটাকে বললেন, “আর কখনও তোমার মধ্যে ফল না ধরুক।” আর তখনই ডুমুর গাছটা শুকিয়ে গেল।
20. সাহাবীরা তা দেখে আশ্চর্য হয়ে বললেন, “ডুমুর গাছটা এত তাড়াতাড়ি কেমন করে শুকিয়ে গেল?”
21. জবাবে ঈসা তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা সন্দেহ না করে যদি বিশ্বাস কর তবে ডুমুর গাছের উপরে আমি যা করেছি তোমরাও তা করতে পারবে। কেবল তা নয়, কিন্তু যদি এই পাহাড়কে বল, ‘উঠে সাগরে গিয়ে পড়,’ তবে তাও হবে।
22. তোমরা যদি বিশ্বাস করে মুনাজাত কর তবে তোমরা যা চাইবে তা-ই পাবে।”
23. পরে ঈসা আবার বায়তুল-মোকাদ্দসে গেলেন। যখন তিনি সেখানে শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন প্রধান ইমামেরা ও ইহুদীদের বৃদ্ধ নেতারা তাঁর কাছে এসে বললেন, “তুমি কোন্ অধিকারে এই সব করছ? এই অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?”
24. ঈসা তাঁদের বললেন, “আমিও আপনাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করব। আপনারা যদি আমাকে তার জবাব দিতে পারেন তবে আমিও আপনাদের বলব আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।
25. বলুন দেখি, তরিকাবন্দী দেবার অধিকার ইয়াহিয়া কোথা থেকে পেয়েছিলেন? আল্লাহ্র কাছ থেকে, না মানুষের কাছ থেকে?”তখন তাঁরা নিজেদের মধ্যে এই আলোচনা করলেন, “আমরা যদি বলি, ‘আল্লাহ্র কাছ থেকে,’ তাহলে সে আমাদের বলবে, ‘তবে কেন আপনারা ইয়াহিয়াকে বিশ্বাস করেন নি?’
26. আবার যদি বলি, ‘মানুষের কাছ থেকে,’ তবে লোকদের কাছ থেকে আমাদের ভয় আছে, কারণ ইয়াহিয়াকে সবাই নবী বলে মনে করে।”
27. এইজন্য জবাবে তাঁরা ঈসাকে বললেন, “আমরা জানি না।”তখন ঈসা তাঁদের বললেন, “তবে আমিও আপনাদের বলব না আমি কোন্ অধিকারে এই সব করছি।”
28. তারপর ঈসা বললেন, “আচ্ছা, আপনারা কি মনে করেন? ধরুন, একজন লোকের দু’টি ছেলে ছিল। লোকটি তাঁর বড় ছেলের কাছে গিয়ে বলল, ‘আজ তুমি আংগুর ক্ষেতে গিয়ে কাজ কর।’
29. জবাবে ছেলেটি বলল, ‘আমি যাব না।’ কিন্তু পরে সে মন ফিরিয়ে কাজে গেল।