16. পণ্ডিতেরা তাঁকে ঠকিয়েছেন দেখে হেরোদ ভীষণ রেগে গেলেন। সেই পণ্ডিতদের কাছ থেকে যে সময়ের কথা তিনি জেনে নিয়েছিলেন সেই সময়ের হিসাব মত দুই বছর ও তার কম বয়সের যত ছেলে বেথেলহেম ও তাঁর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ছিল সকলকে হত্যা করবার হুকুম দিলেন।
17. তাতে নবী ইয়ারমিয়ার মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হল:
18. রামায় ভীষণ কান্নাকাটির শব্দ শোনা যাচ্ছে;রাহেলা তার সন্তানদের জন্য কাঁদছে,কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না,কারণ তারা আর নেই।
19. হেরোদ মারা যাবার পর মাবুদের এক ফেরেশতা মিসর দেশে ইউসুফকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন,
20. “ওঠো, ছেলেটি এবং তাঁর মাকে নিয়ে ইসরাইল দেশে ফিরে যাও। ছেলেটিকে যারা মেরে ফেলতে চেয়েছিল তারা মারা গেছে।”
21. তখন ইউসুফ উঠে সেই ছেলেটি ও তাঁর মাকে নিয়ে ইসরাইল দেশে গেলেন।
22. এহুদিয়া প্রদেশে সেই সময় হেরোদের পরে তাঁর ছেলে আর্খিলায় বাদশাহ্ হয়েছিলেন। এই কথা শুনে ইউসুফ সেখানে যেতে ভয় পেলেন। পরে স্বপ্নে হুকুম পেয়ে তিনি গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
23. আর নাসরত নামে একটা গ্রামে গিয়ে বাস করতে লাগলেন। এটা ঘটল যাতে নবীদের মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হয়: “তাঁকে নাসরতীয় বলে ডাকা হবে।”