16. কিন্তু যদি সে না শোনে তবে অন্য দু’একজনকে তোমার সংগে নিয়ে যেয়ো, যেন দুই বা তিনজন সাক্ষীর কথায় এই সব বিষয় সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
17. যদি সে তাদের কথা না শোনে তবে জামাতকে বোলো। সে যদি জামাতের কথাও না শোনে তবে সে তোমার কাছে অ-ইহুদী বা খাজনা-আদায়কারীর মত হোক।
18. “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমরা দুনিয়াতে যা বাঁধবে তা বেহেশতেও বেঁধে রাখা হবে, আর যা খুলবে তা বেহেশতেও খুলে দেওয়া হবে।
19. “আমি তোমাদের আরও বলছি, তোমাদের মধ্যে দু’জন যদি একমত হয়ে কোন বিষয়ে মুনাজাত করে তবে আমার বেহেশতী পিতা তোমাদের জন্য তা করবেন,
20. কারণ যেখানে দুই বা তিনজন আমার নামে জমায়েত হয় সেখানে আমি তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি।”
21. তখন পিতর এসে ঈসাকে বললেন, “হুজুর, আমার ভাই আমার বিরুদ্ধে অন্যায় করলে আমি কতবার তাকে মাফ করব? সাত বার কি?”
22. ঈসা তাঁকে বললেন, “কেবল সাত বার নয়, কিন্তু আমি তোমাকে সত্তর গুণ সাত বার পর্যন্ত মাফ করতে বলি।
23. “দেখ, বেহেশতী রাজ্য এমন একজন বাদশাহ্র মত যিনি তাঁর কর্মচারীদের কাছে হিসাব চাইলেন।
24. তিনি যখন হিসাব নিতে শুরু করলেন তখন তাদের মধ্য থেকে এমন একজন কর্মচারীকে আনা হল, বাদশাহ্র কাছে যার লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ ছিল।
25. তার ঋণ শোধ করবার ক্ষমতা ছিল না। তখন সেই মালিক হুকুম করলেন যেন সেই লোককে এবং তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে আর তার যা কিছু আছে সমস্ত বিক্রি করে পাওনা আদায় করা হয়।
26. তাতে সেই কর্মচারী মাটিতে পড়ে মালিকের পা ধরে বলল, ‘হুজুর, আমার উপর ধৈর্য ধরুন, আপনাকে আমি সমস্তই শোধ করে দেব।’
27. তখন মালিক মমতা করে সেই কর্মচারীকে ছেড়ে দিলেন এবং তার ঋণ মাফ করে দিলেন।
28. “পরে সেই কর্মচারী বাইরে গিয়ে তার একজন সংগী-কর্মচারীকে দেখতে পেল। তার কাছে সেই সংগী-কর্মচারীটির প্রায় একশো টাকা ঋণ ছিল। সেই কর্মচারী তার সংগীর গলা টিপে ধরে বলল, ‘তুই যে টাকা ধার করেছিস্ তা শোধ কর্।’
29. “সংগী-কর্মচারীটি তখন তার পায়ে পড়ে তাকে অনুরোধ করে বলল, ‘আমার উপর ধৈর্য ধর, আমি সব শোধ করে দেব।’
30. কিন্তু সে রাজী হল না বরং ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত তাকে জেলখানায় আটক রাখল।