7. এতে সাহাবীরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলেন, “আমরা রুটি আনি নি বলে উনি এই কথা বলছেন।”
8. এই কথা বুঝতে পেরে ঈসা বললেন, “অল্প বিশ্বাসীরা, তোমরা নিজেদের মধ্যে কেন বলাবলি করছ যে, তোমাদের রুটি নেই?
9. তোমরা কি এখনও বোঝ না বা মনেও কি পড়ে না, সেই পাঁচ হাজার লোকের জন্য পাঁচখানা রুটির কথা, আর তার পরে কত টুকরি তোমরা তুলে নিয়েছিলে?
10. কিংবা সেই চার হাজার লোকের জন্য সাতখানা রুটির কথা, আর কত টুকরি তোমরা তুলে নিয়েছিলে?
11. আমি যে তোমাদের কাছে রুটির কথা বলি নি তা তোমরা কেন বোঝ না? ফরীশী ও সদ্দূকীদের খামি থেকে তোমরা সাবধান হও।”
12. তখন সাহাবীরা বুঝতে পারলেন যে, তিনি রুটির খামি থেকে তাঁদের সাবধান হতে বলেন নি, কিন্তু ফরীশী ও সদ্দূকীদের শিক্ষা থেকে সাবধান হতে বলেছেন।
13. পরে ঈসা যখন সিজারিয়া-ফিলিপি এলাকায় গেলেন তখন সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করলেন, “ইব্ন্তেআদম কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?”
14. তাঁরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়া; কেউ কেউ বলে ইলিয়াস নবী; আবার কেউ কেউ বলে ইয়ারমিয়া নবী বা নবীদের মধ্যে একজন।”
15. তখন তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”
16. শিমোন্তপিতর বললেন, “আপনি সেই মসীহ্, জীবন্ত আল্লাহ্র পুত্র।”
17. জবাবে ঈসা তাঁকে বললেন, “শিমোন ইব্নে ইউনুস, ধন্য তুমি, কারণ কোন মানুষ তোমার কাছে এটা প্রকাশ করে নি; আমার বেহেশতী পিতাই প্রকাশ করেছেন।
18. আমি তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার জামাত গড়ে তুলব। দোজখের কোন শক্তিই তার উপর জয়লাভ করতে পারবে না।
19. আমি তোমাকে বেহেশতী রাজ্যের চাবিগুলো দেব, আর তুমি এই দুনিয়াতে যা বাঁধবে তা বেহেশতেও বেঁধে রাখা হবে এবং যা খুলবে তা বেহেশতেও খুলে দেওয়া হবে।”