15. তখন তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”
16. শিমোন্তপিতর বললেন, “আপনি সেই মসীহ্, জীবন্ত আল্লাহ্র পুত্র।”
17. জবাবে ঈসা তাঁকে বললেন, “শিমোন ইব্নে ইউনুস, ধন্য তুমি, কারণ কোন মানুষ তোমার কাছে এটা প্রকাশ করে নি; আমার বেহেশতী পিতাই প্রকাশ করেছেন।
18. আমি তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার জামাত গড়ে তুলব। দোজখের কোন শক্তিই তার উপর জয়লাভ করতে পারবে না।
19. আমি তোমাকে বেহেশতী রাজ্যের চাবিগুলো দেব, আর তুমি এই দুনিয়াতে যা বাঁধবে তা বেহেশতেও বেঁধে রাখা হবে এবং যা খুলবে তা বেহেশতেও খুলে দেওয়া হবে।”
20. এর পরে তিনি তাঁর সাহাবীদের সাবধান করে দিলেন যেন তাঁরা কাউকে না বলেন যে, তিনিই মসীহ্।
21. সেই সময় থেকে ঈসা তাঁর সাহাবীদের জানাতে লাগলেন যে, তাঁকে জেরুজালেমে যেতে হবে এবং বৃদ্ধ নেতাদের, প্রধান ইমামদের ও আলেমদের হাতে অনেক দুঃখভোগ করতে হবে। পরে তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তৃতীয় দিনে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।
22. তখন পিতর তাঁকে একপাশে নিয়ে গিয়ে অনুযোগ করে বললেন, “হুজুর, এ দূর হোক। আপনার উপর কখনও এমন হবে না।”
23. ঈসা ফিরে পিতরকে বললেন, “আমার কাছ থেকে দূর হও, শয়তান। তুমি আমার পথের বাধা। যা আল্লাহ্র তা তুমি ভাবছ না কিন্তু যা মানুষের তা-ই ভাবছ।”
24. এর পরে ঈসা তাঁর সাহাবীদের বললেন, “যদি কেউ আমার পথে আসতে চায় তবে সে নিজের ইচ্ছামত না চলুক; নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে সে আমার পিছনে আসুক।
25. যে কেউ তাঁর নিজের জন্য বেঁচে থাকতে চায় সে তার সত্যিকারের জীবন হারাবে; কিন্তু যে কেউ আমার জন্য তার প্রাণ হারায় সে তার সত্যিকারের জীবন রক্ষা করবে।
26. যদি কেউ সমস্ত দুনিয়া লাভ করে তার বিনিময়ে তার সত্যিকারের জীবন হারায় তবে তার কি লাভ হল? সত্যিকারের জীবন ফিরে পাবার জন্য তার দেবার মত কি আছে?
27. ইব্ন্তেআদম তাঁর ফেরেশতাদের সংগে নিয়ে তাঁর পিতার মহিমায় আসছেন। তখন তিনি প্রত্যেক লোককে তার কাজ অনুসারে ফল দেবেন।
28. আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এখানে এমন কয়েকজন আছে যাদের কাছে ইব্ন্তেআদম বাদশাহ্ হিসাবে দেখা না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনমতেই মারা যাবে না।”