7. সেইজন্য হেরোদ কসম খেয়ে বললেন সে যা চাইবে তা-ই তিনি তাকে দেবেন।
8. মেয়েটি তার মায়ের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়ে বলল, “থালায় করে তরিকাবন্দীদাতা ইয়াহিয়ার মাথাটা এখানে আমার কাছে এনে দিন।”
9. এতে বাদশাহ্ হেরোদ দুঃখিত হলেন, কিন্তু যাঁরা তাঁর সংগে খেতে বসেছিলেন তাঁদের সামনে কসম খেয়েছিলেন বলে তিনি তা দিতে হুকুম করলেন।
10. তিনি লোক পাঠিয়ে জেলখানার মধ্যেই ইয়াহিয়ার মাথা কাটালেন।
11. পরে মাথাটি থালায় করে এনে মেয়েটিকে দেওয়া হলে পর সে তার মায়ের কাছে তা নিয়ে গেল।
12. এর পর ইয়াহিয়ার সাহাবীরা এসে তাঁর লাশটা নিয়ে গিয়ে দাফন করলেন এবং সেই খবর ঈসাকে গিয়ে দিলেন।
13. ইয়াহিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে ঈসা একাই সেখান থেকে নৌকায় করে একটা নির্জন জায়গায় চলে গেলেন। লোকেরা সেই কথা শুনে ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম থেকে হাঁটা-পথে তাঁর পিছন ধরল।
14. তিনি নৌকা থেকে নেমে লোকদের ভিড় দেখতে পেলেন আর মমতায় পূর্ণ হয়ে তাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তাদের সুস্থ করলেন।
15. দিনের শেষে সাহাবীরা তাঁর কাছে এসে বললেন, “জায়গাটা নির্জন, বেলাও গেছে। লোকদের বিদায় করে দিন যেন তারা গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার কিনতে পারে।”
16. ঈসা তাঁদের বললেন, “ওদের যাবার দরকার নেই, তোমরাই ওদের খেতে দাও।”
17. সাহাবীরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।”
18-19. তিনি বললেন, “ওগুলো আমার কাছে আন।” পরে তিনি লোকদের ঘাসের উপর বসতে হুকুম করলেন, আর সেই পাঁচখানা রুটি আর দু’টা মাছ নিয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে আল্লাহ্কে শুকরিয়া জানালেন। এর পরে তিনি রুটি ভেংগে সাহাবীদের হাতে দিলেন আর সাহাবীরা তা লোকদের দিলেন। তারা প্রত্যেকে পেট ভরে খেল।
20. খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল সাহাবীরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।