6. আমি আপনাদের বলছি, বায়তুল-মোকাদ্দস থেকেও বড় একজন এখানে আছেন।
7. ‘আমি দয়া দেখতে চাই, পশু-কোরবানী নয়’- কিতাবের এই কথার অর্থ যদি আপনারা জানতেন তবে নির্দোষীদের দোষী করতেন না।
8. জেনে রাখুন, ইব্ন্তেআদমই বিশ্রামবারের মালিক।”
9. পরে সেই জায়গা ছেড়ে ঈসা সেই ফরীশীদের মজলিস-খানায় গেলেন।
10. সেখানে একজন লোক ছিল যার একটা হাত শুকিয়ে গিয়েছিল। ঈসাকে দোষী করবার উদ্দেশ্যে ফরীশীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শরীয়ত মতে বিশ্রামবারে কি কাউকে সুস্থ করা উচিত?”
11. ঈসা তাঁদের বললেন, “ধরুন, আপনাদের মধ্যে কারও একটা ভেড়া আছে। সেই ভেড়াটা যদি বিশ্রামবারে গর্তে পড়ে যায় তবে কি তিনি তাকে ধরে তুলবেন না?
12. আর ভেড়ার চেয়ে মানুষের দাম তো অনেক বেশী। তাহলে দেখা যায়, বিশ্রামবারে ভাল কাজ করা উচিত।”
13. তারপর তিনি লোকটিকে বললেন, “তোমার হাত বাড়িয়ে দাও।” সে তার হাতটা বাড়িয়ে দিলে পর সেটা ভাল হয়ে অন্য হাতটার মত হয়ে গেল।
14. তখন ফরীশীরা বাইরে গেলেন এবং ঈসাকে হত্যা করবার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে পরামর্শ করতে লাগলেন।
15. সেই পরামর্শের বিষয় জানতে পেরে ঈসা সেখান থেকে চলে গেলেন। তখন অনেক লোক তাঁর পিছনে পিছনে গেল।
16. তাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তিনি তাদের সবাইকে সুস্থ করলেন এবং সাবধান করে দিলেন যেন তাঁর বিষয়ে তারা বলাবলি না করে।
17. এটা হল যাতে নবী ইশাইয়ার মধ্য দিয়ে এই যে কথা বলা হয়েছিল তা পূর্ণ হয়:
18. দেখ, আমার গোলাম যাঁকে আমি বেছে নিয়েছি।ইনিই আমার প্রিয়জন যাঁর উপর আমি সন্তুষ্ট।আমি তাঁর উপরে আমার রূহ্ দেব,আর তিনি অ-ইহুদীদের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করবেন।
19. তিনি ঝগড়া বা চিৎকার করবেন না;তিনি রাস্তায় রাস্তায় তাঁর গলার আওয়াজ শোনাবেন না।
20. ন্যায়বিচারকে জয়ী না করা পর্যন্ততিনি থেঁৎলে যাওয়া নল ভাংবেন নাআর মিট মিট করে জ্বলতে থাকা সল্তে নিভাবেন না।
21. তাঁরই উপর অ-ইহুদীরা আশা রাখবে।
22. পরে লোকেরা ভূতে পাওয়া একজন লোককে ঈসার কাছে আনল। লোকটি অন্ধ এবং বোবা ছিল। ঈসা তাকে ভাল করলেন।
23. তাতে লোকটি কথা বলতে লাগল ও দেখতে পেল। তখন সব লোকেরা আশ্চর্য হয়ে বলল, “ইনি কি দাউদের সেই বংশধর?”
24. ফরীশীরা এই কথা শুনে বললেন, “ও তো কেবল ভূতদের বাদশাহ্ বেল্সবূলের সাহায্যে ভূত ছাড়ায়।”