18. দেখ, আমার গোলাম যাঁকে আমি বেছে নিয়েছি।ইনিই আমার প্রিয়জন যাঁর উপর আমি সন্তুষ্ট।আমি তাঁর উপরে আমার রূহ্ দেব,আর তিনি অ-ইহুদীদের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করবেন।
19. তিনি ঝগড়া বা চিৎকার করবেন না;তিনি রাস্তায় রাস্তায় তাঁর গলার আওয়াজ শোনাবেন না।
20. ন্যায়বিচারকে জয়ী না করা পর্যন্ততিনি থেঁৎলে যাওয়া নল ভাংবেন নাআর মিট মিট করে জ্বলতে থাকা সল্তে নিভাবেন না।
21. তাঁরই উপর অ-ইহুদীরা আশা রাখবে।
22. পরে লোকেরা ভূতে পাওয়া একজন লোককে ঈসার কাছে আনল। লোকটি অন্ধ এবং বোবা ছিল। ঈসা তাকে ভাল করলেন।
23. তাতে লোকটি কথা বলতে লাগল ও দেখতে পেল। তখন সব লোকেরা আশ্চর্য হয়ে বলল, “ইনি কি দাউদের সেই বংশধর?”
24. ফরীশীরা এই কথা শুনে বললেন, “ও তো কেবল ভূতদের বাদশাহ্ বেল্সবূলের সাহায্যে ভূত ছাড়ায়।”
25. ফরীশীদের মনের চিন্তা বুঝতে পেরে ঈসা তাঁদের বললেন, “যে রাজ্য নিজের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় সেই রাজ্য ধ্বংস হয়। আর যে শহর বা পরিবার নিজের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় সেই শহর বা পরিবার টেকে না।
26. শয়তান যদি শয়তানকেই বের করে দেয় তবে সে তো নিজের মধ্যেই ভাগ হয়ে গেল। তাহলে তার রাজ্য কি করে টিকবে?
27. আমি যদি বেল্সবূলের সাহায্যেই ভূত ছাড়াই তবে আপনাদের লোকেরা কার সাহায্যে তাদের ছাড়ায়? আপনারা ঠিক কথা বলছেন কি না, আপনাদের লোকেরাই তা বিচার করবে।
28. কিন্তু আমি যদি আল্লাহ্র রূহের সাহায্যে ভূত ছাড়াই তবে আল্লাহ্র রাজ্য তো আপনাদের কাছে এসে গেছে।
29. “যে লোকের গায়ে বল আছে তাঁকে প্রথমে বেঁধে না রাখলে কেউ কি তার ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লুট করতে পারে? বাঁধলে পরেই সে তা পারবে।
30. “যদি কেউ আমার পক্ষে না থাকে তবে সে আমার বিপক্ষে আছে। যে আমার সংগে কুড়ায় না সে ছড়ায়।
31. এইজন্য আমি আপনাদের বলছি, মানুষের সমস্ত গুনাহ্ এবং কুফরী মাফ করা হবে, কিন্তু পাক-রূহের বিরুদ্ধে কুফরী মাফ করা হবে না।
32. ইব্ন্তেআদমের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তাকে মাফ করা হবে, কিন্তু পাক-রূহের বিরুদ্ধে কথা বললে তাঁকে মাফ করা হবে না- এই যুগেও না, আগামী যুগেও না।
33. “এই কথা স্বীকার করুন যে, গাছ ভাল হলে তার ফলও ভাল হবে, আবার গাছ খারাপ হলে তার ফলও খারাপ হবে; কারণ ফল দিয়েই গাছ চেনা যায়।
34. সাপের বংশধরেরা! নিজেরা খারাপ হয়ে কেমন করে আপনারা ভাল কথা বলতে পারেন? মানুষের দিল যা দিয়ে পূর্ণ থাকে মুখ তো সেই কথাই বলে।
35. ভাল লোক তার দিল-ভরা ভাল থেকে ভাল কথা বের করে, আর খারাপ লোক তার দিল-ভরা খারাপী থেকে খারাপ কথা বের করে।
36. কিন্তু আমি আপনাদের বলছি, লোকে যে সব বাজে কথা বলে, রোজ হাশরে তার প্রত্যেকটি কথার হিসাব তাদের দিতে হবে।
37. আপনার কথার দ্বারাই আপনাকে নির্দোষ বলা হবে এবং আপনার কথার দ্বারাই আপনাকে দোষী বলা হবে।”
38. এর পরে কয়েকজন আলেম ও ফরীশী ঈসাকে বললেন, “হুজুর, আমরা আপনার কাছ থেকে একটা চিহ্ন দেখতে চাই।”