12. ভাইয়েরা, আমি চাই যেন তোমরা জানতে পার যে, আমার উপর যা ঘটেছে তার ফলে সুসংবাদ তবলিগের কাজ আরও এগিয়ে গেছে।
13. আর তাতে এখানকার রাজবাড়ীর সৈন্যদল ও অন্য সকলে জানতে পেরেছে যে, মসীহের জন্যই আমি বন্দী অবস্থায় আছি।
14. এছাড়া আমার এই বন্দী অবস্থায় থাকবার দরুন বেশীর ভাগ ভাইয়েরা প্রভুর উপর আরও বেশী করে ভরসা করতে শিখেছে এবং সেইজন্যই তারা নির্ভয়ে আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করতে আরও সাহসী হয়েছে।
15. তাদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য হিংসা ও দলাদলির মনোভাব নিয়ে মসীহের বিষয় তবলিগ করে, আবার অন্যেরা ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই তা করে।
16. এই লোকদের মনে মহব্বত আছে বলেই তারা মসীহের বিষয় তবলিগ করে, কারণ এরা জানে যে, সুসংবাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলবার জন্যই আমি নিযুক্ত।
17. কিন্তু ঐ প্রথম দলের লোকেরা নিজেদের স্বার্থের জন্য মসীহের বিষয় তবলিগ করে থাকে, কোন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে তা করে না। ওরা মনে করে, এতে আমার বন্দী অবস্থায় ওরা আমাকে কষ্ট দিতে পারবে।
18. কিন্তু তাতে কি এসে যায়? আসল কথা হল, এতে যেভাবেই হোক মসীহের বিষয় প্রচারিত হচ্ছে- তা ছলনার উদ্দেশ্যেই হোক আর সৎ উদ্দেশ্যেই হোক; আর তাতেই আমার আনন্দ।আমার এই আনন্দ কখনও শেষ হবে না,
19. কারণ আমি জানি, আমার উপর যা ঘটেছে তার শেষ ফল হবে আমার মুক্তি; আর তা তোমাদের মুনাজাতের দ্বারা ও ঈসা মসীহের রূহের সাহায্যেই হবে।
20. আমার স্থির বিশ্বাস আছে যে, আমি কোন কিছুতেই লজ্জা পাব না বরং আমার যথেষ্ট সাহস থাকবে, যাতে আগে যেমন আমার মধ্য দিয়ে মসীহের গৌরব প্রকাশ হত তেমনি এখনও হবে- তা আমি বাঁচি বা মরি;
21. কারণ আমার পক্ষে জীবন হল মসীহ্ এবং মরণ হল লাভ।
22. কিন্তু যদি আমি বেঁচেই থাকি তবে সেটা আমাকে এমন একটা কাজের সুযোগ দেবে যাতে যথেষ্ট ফল হয়। কোন্টা আমি বেছে নেব তা জানি না।
23. দু’দিকই আমাকে টানছে। আমি মরে গিয়ে মসীহের সংগে থাকতে চাই, কারণ সেটা অনেক ভাল।
24. তবুও তোমাদের জন্য আমার বেঁচে থাকবার দরকার আরও বেশী।