29. তখন পাক-রূহ্ ফিলিপকে বললেন, “ঐ রথের কাছে যাও এবং তার সংগে সংগে চল।”
30. এতে ফিলিপ দৌড়ে সেই রথের কাছে গেলেন এবং শুনতে পেলেন লোকটি নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছেন। ফিলিপ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যা তেলাওয়াত করছেন তা বুঝতে পারছেন কি?”
31. সেই কর্মচারী বললেন, “কেউ বুঝিয়ে না দিলে কেমন করে বুঝতে পারব?” তিনি ফিলিপকে রথে উঠে তাঁর কাছে বসতে অনুরোধ করলেন।
32. সেই কর্মচারী পাক-কিতাবের যে অংশটুকু তেলাওয়াত করছিলেন তা এই:জবাই করবার জন্য যেমন ভেড়া নেওয়া হয়,তেমনি তাঁকে নেওয়া হল।লোম ছাঁটাইকারীর সামনে ভেড়ার বাচ্চা যেমন চুপ করে থাকে,তেমনি তিনি মুখ খুললেন না।
33. তিনি অপমানিত হলেন,তাঁর উপর ন্যায়বিচার করা হয় নি।তাঁর বংশের কথা বলা সম্ভব নয়,কারণ তাঁর জীবন এই দুনিয়া থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
34. সেই কর্মচারী ফিলিপকে বললেন, “বলুন না, নবী কার বিষয়ে এই কথা বলেছেন? নিজের বিষয়ে, না অন্য কারও বিষয়ে?”
35. তখন ফিলিপ পাক-কিতাবের সেই অংশ থেকে শুরু করে তাঁর কাছে ঈসার বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করলেন।
36-37. পথে যেতে যেতে তাঁরা এমন এক জায়গায় আসলেন যেখানে পানি ছিল। তখন সেই কর্মচারীটি বললেন, “এই দেখুন, এখানে পানি আছে; আমার তরিকাবন্দী নেবার বাধা কি আছে?”
38. তিনি রথ থামাতে বললেন। তার পরে ফিলিপ এবং সেই কর্মচারী পানির মধ্যে নামলেন ও ফিলিপ তাঁকে তরিকাবন্দী দিলেন।
39. যখন তাঁরা পানি থেকে উঠে আসলেন তখন মাবুদের রূহ্ হঠাৎ ফিলিপকে নিয়ে গেলেন। সেই কর্মচারী আর তাঁকে দেখতে পেলেন না। তখন তিনি আনন্দ করতে করতে বাড়ীর পথে চললেন।
40. ফিলিপকে কিন্তু অস্দোদ শহরে দেখতে পাওয়া গেল। তিনি গ্রামে গ্রামে সুসংবাদ তবলিগ করতে করতে শেষে সিজারিয়াতে গেলেন।