23. আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমার মন লোভে ভরা এবং তুমি গুনাহের কাছে বন্দী হয়ে আছ।”
24. তখন শিমোন বলল, “আপনারাই মাবুদের কাছে আমার জন্য দোয়া করুন যেন আপনারা যা বললেন তা আমার উপর না ঘটে।”
25. এর পরে পিতর ও ইউহোন্না প্রভুর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়ে ও তাঁর কালাম তবলিগ করে জেরুজালেমে ফিরে গেলেন। যাবার পথে তাঁরা সামেরীয়দের অনেক গ্রামে সুসংবাদ তবলিগ করলেন।
26. একদিন মাবুদের একজন ফেরেশতা ফিলিপকে বললেন, “ওঠো, দক্ষিণ দিকের যে পথ জেরুজালেম থেকে গাজা শহরের দিকে গেছে সেই পথে যাও।” পথটা ছিল মরুভূমির মধ্যে।
27. তখন ফিলিপ সেই দিকে গেলেন। পথে ইথিওপিয়া দেশের একজন বিশেষ রাজকর্মচারীর সংগে তাঁর দেখা হল। সেই কর্মচারী ছিলেন খোজা। ইথিওপিয়ার কান্দাকী রাণীর ধনরত্নের দেখাশোনা করবার ভার ছিল এই লোকটির উপর। আল্লাহ্র এবাদত করবার জন্য সেই কর্মচারী জেরুজালেমে গিয়েছিলেন।
28. বাড়ী ফিরবার পথে তিনি রথে বসে নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছিলেন।
29. তখন পাক-রূহ্ ফিলিপকে বললেন, “ঐ রথের কাছে যাও এবং তার সংগে সংগে চল।”
30. এতে ফিলিপ দৌড়ে সেই রথের কাছে গেলেন এবং শুনতে পেলেন লোকটি নবী ইশাইয়ার কিতাবখানা তেলাওয়াত করছেন। ফিলিপ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি যা তেলাওয়াত করছেন তা বুঝতে পারছেন কি?”
31. সেই কর্মচারী বললেন, “কেউ বুঝিয়ে না দিলে কেমন করে বুঝতে পারব?” তিনি ফিলিপকে রথে উঠে তাঁর কাছে বসতে অনুরোধ করলেন।
32. সেই কর্মচারী পাক-কিতাবের যে অংশটুকু তেলাওয়াত করছিলেন তা এই:জবাই করবার জন্য যেমন ভেড়া নেওয়া হয়,তেমনি তাঁকে নেওয়া হল।লোম ছাঁটাইকারীর সামনে ভেড়ার বাচ্চা যেমন চুপ করে থাকে,তেমনি তিনি মুখ খুললেন না।
33. তিনি অপমানিত হলেন,তাঁর উপর ন্যায়বিচার করা হয় নি।তাঁর বংশের কথা বলা সম্ভব নয়,কারণ তাঁর জীবন এই দুনিয়া থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
34. সেই কর্মচারী ফিলিপকে বললেন, “বলুন না, নবী কার বিষয়ে এই কথা বলেছেন? নিজের বিষয়ে, না অন্য কারও বিষয়ে?”
35. তখন ফিলিপ পাক-কিতাবের সেই অংশ থেকে শুরু করে তাঁর কাছে ঈসার বিষয়ে সুসংবাদ তবলিগ করলেন।