11. “তার পরে সারা মিসর ও কেনান দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। তাতে যখন খুব কষ্ট উপস্থিত হল তখন আমাদের পূর্বপুরুষেরা খাবার পেলেন না।
12. কিন্তু মিসরে খাবার আছে শুনে ইয়াকুব আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথমে একবার সেখানে পাঠিয়ে দিলেন।
13. দ্বিতীয় বারে ইউসুফ ভাইদের জানালেন তিনি কে। সেই সময় ফেরাউন ইউসুফের পরিবারের বিষয় জানতে পারলেন।
14. এর পরে ইউসুফ তাঁর পিতা ইয়াকুব ও পরিবারের অন্য সবাইকে ডেকে পাঠালেন। তাঁরা সংখ্যায় মোট পঁচাত্তরজন ছিলেন।
15. ইয়াকুব মিসরে গেলেন, আর সেখানে তিনি ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা ইন্তেকাল করলেন।
16. তাঁদের মৃতদেহ শিখিমে এনে দাফন করা হল। এই কবরস্থান ইব্রাহিম শিখিম শহরের হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে রূপা দিয়ে কিনেছিলেন।
17. “ইব্রাহিমের কাছে আল্লাহ্ যে ওয়াদা করেছিলেন তা পূর্ণ হবার সময় যখন কাছে আসল তখন দেখা গেল মিসরে আমাদের লোকসংখ্যা খুব বেড়ে গেছে।
18. এর পরে মিসরে আর একজন বাদশাহ্ হলেন। তিনি ইউসুফের বিষয় কিছুই জানতেন না।
19. সেই বাদশাহ্ আমাদের লোকদের ঠকাতেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুব জুলুম করতেন। এমন কি, তাঁদের যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করত তারা যাতে মারা যায় সেইজন্য সেই শিশুদের বাইরে ফেলে রাখতে তাঁদের বাধ্য করতেন।
20. “সেই সময়ে মূসার জন্ম হল। তিনি দেখতে খুবই সুন্দর ছিলেন। তিন মাস পর্যন্ত তিনি তাঁর পিতার বাড়ীতেই লালিত-পালিত হলেন।