5. দলের সকলেরই এই কথা ভাল লাগল। বিশ্বাসে ও পাক-রূহে পূর্ণ স্তিফানকে তারা বেছে নিল। এছাড়া তারা ফিলিপ, প্রখর, নীকানর, তীমোন, পার্মিনা ও এণ্টিয়ক শহরের নিকলায়কেও বেছে নিল। এই নিকলায় অ-ইহুদী হয়েও ইহুদী ধর্ম পালন করতেন।
6. পরে তারা এই লোকদের সাহাবীদের কাছে নিয়ে গেল। তখন সাহাবীরা মুনাজাত করলেন এবং কাজে নিযুক্ত করবার জন্য তাঁদের উপর হাত রাখলেন।
7. এইভাবে আল্লাহ্র কালাম ছড়িয়ে পড়তে লাগল, আর জেরুজালেমে উম্মতদের সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যেতে লাগল এবং ইমামদের মধ্যে অনেকে ঈসায়ী ঈমানকে মেনে নিলেন।
8. স্তিফান আল্লাহ্র রহমত ও শক্তিতে পূর্ণ হয়ে লোকদের মধ্যে অনেক কুদরতি ও চিহ্ন-কাজ করতে লাগলেন।
9. যে মজলিস-খানাকে মুক্ত-করা লোকদের মজলিস-খানা বলা হত সেই মজলিস-খানার কয়েকজন লোক স্তিফানের পিছনে লাগল। তারা ছিল কুরীণী ও আলেকজান্দ্রিয়া শহরের এবং কিলিকিয়া ও এশিয়া প্রদেশের কয়েকজন ইহুদী।
10. তারা স্তিফানের সংগে তর্ক জুড়ে দিল, কিন্তু স্তিফান পাক-রূহের মধ্য দিয়ে খুব জ্ঞানের সংগে কথা বলছিলেন। সেইজন্য তারা তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারছিল না।
11. তখন সেই ইহুদীরা গোপনে কয়েকজন লোককে এই কথা বলতে উস্কিয়ে দিল, “আমরা স্তিফানকে নবী মূসা ও আল্লাহ্র বিরুদ্ধে কুফরী করতে শুনেছি।”
12. এইভাবে তারা লোকদের, বৃদ্ধ নেতাদের ও আলেমদের ক্ষেপিয়ে তুলল আর স্তিফানকে ধরে মহাসভার সামনে আনল।
13. তারা কয়েকজন মিথ্যা সাক্ষী দাঁড় করাল। এই মিথ্যা সাক্ষীরা বলল, “এই লোকটা সব সময় বায়তুল-মোকাদ্দসের বিরুদ্ধে ও মূসার শরীয়তের বিরুদ্ধে কথা বলে।
14. আমরা তাকে এই কথা বলতে শুনেছি যে, সেই নাসরত গ্রামের ঈসা এই এবাদত-খানা ভেংগে ফেলবে এবং মূসা যে চলতি নিয়মগুলো আমাদের দিয়ে গিয়েছেন সেগুলোও বদলে ফেলবে।”
15. যাঁরা সেই মহাসভায় বসে ছিলেন তাঁরা সবাই তখন স্তিফানের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তাঁর মুখ একজন ফেরেশতার মুখের মত হয়ে গেছে।