12. সাহাবীরা লোকদের মধ্যে অনেক কুদরতি ও চিহ্ন-কাজ কাজ করতেন; আর ঈমানদারেরা সবাই বায়তুল-মোকাদ্দসের সোলায়মানের বারান্দায় একসংগে মিলিত হত।
13. যদিও লোকেরা তাদের খুব সম্মান করত তবুও আর কেউ তাদের সংগে যোগ দিতে সাহস করল না।
14. তাহলেও অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক প্রভুর উপর ঈমান আনল এবং ঈমানদার দলের সংগে যুক্ত হল।
15. সাহাবীরা যা করছিলেন তা দেখে লোকেরা খাটের উপরে ও মাদুরের উপরে করে রোগীদের এনে রাস্তায় রাস্তায় রাখতে লাগল, যেন রাস্তা দিয়ে যাবার সময় পিতরের ছায়াটুকু অন্ততঃ তাদের কারও কারও উপরে পড়ে।
16. জেরুজালেমের আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে অনেক লোক তাদের রোগীদের এবং ভূতের হাতে কষ্ট-পাওয়া লোকদের এনে ভিড় করতে লাগল, আর তারা সবাই সুস্থ হল।
17. তখন মহা-ইমাম ও তাঁর সংগের সদ্দূকী দলের লোকেরা হিংসায় জ্বলে উঠলেন।
18. তাঁরা সাহাবীদের ধরে সরকারী জেলে দিলেন।
19. কিন্তু রাতের বেলায় মাবুদের একজন ফেরেশতা জেলের দরজাগুলো খুলে তাঁদের বাইরে এনে বললেন,
20. “যাও, বায়তুল-মোকাদ্দসে দাঁড়িয়ে লোকদের কাছে অনন্ত জীবন সম্বন্ধে সমস্ত কথা বল।”
21. তাঁরা সেই কথামত খুব ভোরে বায়তুল-মোকাদ্দসে ঢুকে লোকদের শিক্ষা দিতে লাগলেন।এদিকে মহা-ইমাম ও তাঁর সংগের সদ্দূকীরা মহাসভা ডাকলেন, অর্থাৎ ইসরাইলীয় বৃদ্ধ নেতাদের গোটা দলটিকে ডাকলেন। তারপর তাঁরা সাহাবীদের নিয়ে আসবার জন্য কয়েকজন কর্মচারী পাঠালেন,
22. কিন্তু সেই কর্মচারীরা জেলখানায় গিয়ে সেখানে তাঁদের পেল না।
23. তখন তারা ফিরে গিয়ে এই খবর দিল, “আমরা দেখলাম জেলের দরজায় শক্ত করেই তালা দেওয়া আছে এবং দরজায় দরজায় পাহারাদার দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দরজা খুলে কাউকেই ভিতরে দেখতে পেলাম না।”
24. এই কথা শুনে বায়তুল-মোকাদ্দসের প্রধান কর্মচারী ও প্রধান ইমামেরা বুদ্ধিহারা হয়ে ভাবতে লাগলেন এর ফল কি হবে।