22. যে লোকটি আশ্চর্য ভাবে ভাল হয়েছিল তার বয়স ছিল চল্লিশ বছরেরও বেশী।
23. সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে পিতর ও ইউহোন্না তাঁদের নিজেদের লোকদের কাছে গেলেন এবং প্রধান ইমামেরা ও বৃদ্ধ নেতারা তাঁদের যা যা বলেছিলেন সবই তাদের জানালেন।
24. এই কথা শুনে তারা সবাই মিলে এক প্রাণে আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করে বলল, “হে মালিক, তুমি আসমান, দুনিয়া, সমুদ্র এবং ঐগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে সবই সৃষ্টি করেছ।
25. তুমি পাক-রূহের মধ্য দিয়ে তোমার গোলাম আমাদের পূর্বপুরুষ দাউদের মুখ দিয়ে বলেছ,‘কেন অস্থির হয়ে চেঁচামেচি করছে সমস্ত জাতির লোক?কেন লোকেরা মিছামিছি ষড়যন্ত্র করছে?
26. মাবুদ ও তাঁর মসীহের বিরুদ্ধে দুনিয়ার বাদশাহ্রা একসংগে দাঁড়াচ্ছে,আর শাসনকর্তারা করছে গোপন বৈঠক।’
27. “তোমার পবিত্র গোলাম ঈসা, যাঁকে তুমি মসীহ্ হিসাবে নিযুক্ত করেছিলে, বাদশাহ্ হেরোদ ও পন্তীয় পীলাত এই শহরেই তাঁর বিরুদ্ধে অ-ইহুদীদের সংগে এবং বনি-ইসরাইলদের সংগে সত্যিই হাত মিলিয়েছিলেন।
28. তোমার কুদরত ও ইচ্ছাতে যা ঘটবে বলে তুমি আগেই ঠিক করে রেখেছিলে তাঁরা তা-ই করেছিলেন।
29. আর এখন, হে মাবুদ, এঁরা আমাদের কিভাবে ভয় দেখাচ্ছেন তা তুমি লক্ষ্য কর। তোমার গোলামদের এমন শক্তি দাও যাতে খুব সাহসের সংগে তারা তোমার কালাম বলতে পারে।
30. তোমার হাত বাড়িয়ে দাও যেন তোমার পবিত্র গোলাম ঈসার নামে তারা লোকদের সুস্থ করতে পারে এবং অলৌকিক চিহ্ন ও কুদরতি কাজ করতে পারে।”
31. যে জায়গায় তাঁরা মিলিত হয়েছিলেন, মুনাজাত করবার পর সেই জায়গাটা কেঁপে উঠল। আর তাঁরা সবাই পাক-রূহে পূর্ণ হয়ে সাহসের সংগে আল্লাহ্র কালাম বলতে লাগলেন।
32. ঈমানদারেরা সবাই মনেপ্রাণে এক ছিল। কোন কিছুই তারা নিজের বলে দাবি করত না বরং সব কিছুই যার যার দরকার মত ব্যবহার করত।
33. সাহাবীরা মহাশক্তিতে সাক্ষ্য দিতে থাকলেন যে, হযরত ঈসা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন, আর তাদের সকলের উপর আল্লাহ্র অশেষ রহমত ছিল।
34-35. তাদের মধ্যে কোন অভাবী লোক ছিল না, কারণ যাদের জমি কিংবা বাড়ী ছিল তারা সেগুলো বিক্রি করে টাকা-পয়সা এনে সাহাবীদের পায়ের কাছে রাখত। পরে যার যেমন দরকার সেইভাবে তাকে দেওয়া হত।
36. ইউসুফ নামে লেবির বংশের একজন লোক ছিলেন। সাইপ্রাস দ্বীপে তাঁর বাড়ী ছিল। তাঁকে সাহাবীরা বার্নাবাস, অর্থাৎ উৎসাহদাতা বলে ডাকতেন।
37. তাঁর এক খণ্ড জমি ছিল; তিনি সেটা বিক্রি করে টাকা এনে সাহাবীদের পায়ের কাছে রাখলেন।