6. তখন পিতর বললেন, “আমার কাছে সোনা-রূপা কিছু নেই, কিন্তু যা আছে তা-ই তোমাকে দিচ্ছি। নাসরতের ঈসা মসীহের নামে উঠে দাঁড়াও ও হাঁট।”
7. পরে তিনি লোকটির ডান হাত ধরে তাকে তুললেন আর তখনই তার পা ও গোড়ালি শক্ত হল।
8. সে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াল এবং হাঁটতে লাগল। পরে সে হাঁটতে হাঁটতে, লাফাতে লাফাতে এবং আল্লাহ্র প্রশংসা করতে করতে তাঁদের সংগে বায়তুল-মোকাদ্দসে গেল।
9-10. লোকেরা তাকে হাঁটতে ও আল্লাহ্র প্রশংসা করতে দেখে চিনতে পারল যে, এ সেই একই লোক, যে বায়তুল-মোকাদ্দসে সুন্দর নামে দরজার কাছে বসে ভিক্ষা করত। তার যা ঘটেছিল তাতে লোকেরা খুব আশ্চর্য হয়ে গেল।
11. ভিখারীটি কিন্তু পিতর ও ইউহোন্নার পিছু ছাড়ল না। লোকেরা পিতরের সেই কাজে আশ্চর্য হয়ে তাঁদের কাছে দৌড়ে আসল।
12. সোলায়মানের নামে যে বারান্দা ছিল তাঁরা তখন সেখানে ছিলেন। এই ব্যাপার দেখে পিতর লোকদের বললেন, “বনি-ইসরাইলরা, এতে আপনারা আশ্চর্য হচ্ছেন কেন? আমাদের নিজেদের শক্তিতে বা আল্লাহ্র প্রতি ভয়ের গুণে একে চলবার শক্তি দিয়েছি মনে করে কেনই বা আপনারা আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন?
13. ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের আল্লাহ্, অর্থাৎ আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ এই কাজের দ্বারা নিজের গোলাম ঈসার মহিমা প্রকাশ করেছেন। আপনারা তো ঈসাকে হত্যা করবার জন্য ধরিয়ে দিয়েছিলেন। পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আপনারা পীলাতের সামনে তাঁকে অস্বীকার করেছিলেন।
14. আপনারা সেই পবিত্র ও ন্যায়বান লোকটিকে অস্বীকার করে একজন খুনীকে আপনাদের কাছে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।
15. যিনি জীবনদাতা তাঁকেই আপনারা হত্যা করেছিলেন, কিন্তু আল্লাহ্ মৃত্যু থেকে তাঁকে জীবিত করে তুলেছেন; আর আমরা তার সাক্ষী।
16. এই যে লোকটিকে আপনারা দেখছেন এবং যাকে আপনারা চেনেন, ঈসার উপর ঈমান আনবার ফলে, ঈসার নামের গুণে সে শক্তি লাভ করেছে। ঈসার মধ্য দিয়ে যে ঈমান আসে সেই ঈমানই আপনাদের সকলের সামনে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলেছে।
17. “এখন ভাইয়েরা, আমি জানি আপনাদের নেতাদের মত আপনারাও না বুঝেই ঈসাকে ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন।
18. কিন্তু আল্লাহ্ অনেক দিন আগে সমস্ত নবীদের মধ্য দিয়ে বলেছিলেন তাঁর মসীহ্কে কষ্টভোগ করতে হবে; আর সেই কথা আল্লাহ্ এইভাবেই পূর্ণ করলেন।