16. এই যে লোকটিকে আপনারা দেখছেন এবং যাকে আপনারা চেনেন, ঈসার উপর ঈমান আনবার ফলে, ঈসার নামের গুণে সে শক্তি লাভ করেছে। ঈসার মধ্য দিয়ে যে ঈমান আসে সেই ঈমানই আপনাদের সকলের সামনে তাকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলেছে।
17. “এখন ভাইয়েরা, আমি জানি আপনাদের নেতাদের মত আপনারাও না বুঝেই ঈসাকে ক্রুশের উপরে হত্যা করেছিলেন।
18. কিন্তু আল্লাহ্ অনেক দিন আগে সমস্ত নবীদের মধ্য দিয়ে বলেছিলেন তাঁর মসীহ্কে কষ্টভোগ করতে হবে; আর সেই কথা আল্লাহ্ এইভাবেই পূর্ণ করলেন।
19. এইজন্য আপনারা তওবা করে আল্লাহ্র দিকে ফিরুন যেন আপনাদের গুনাহ্ মুছে ফেলা হয়;
20. আর এতে যেন আল্লাহ্ সেই মসীহ্কে, অর্থাৎ ঈসাকে পাঠিয়ে দিয়ে আপনাদের সজীব করে তুলতে পারেন। আপনাদের জন্য তাঁকেই নিযুক্ত করা হয়েছে।
21. আল্লাহ্ সব কিছু যে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন তা অনেক দিন আগেই পবিত্র নবীদের মধ্য দিয়ে বলেছিলেন। তিনি যতদিন না তাঁর সেই কথা পূর্ণ করেন ততদিন পর্যন্ত ঈসাকে বেহেশতে থাকতে হবে।
22. নবী মূসা বলেছিলেন,‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমার মত একজন নবী দাঁড় করাবেন। তাঁর কথামত তোমাদের চলতে হবে।
23. যে তাঁর কথা শুনবে না তাকে তার লোকদের মধ্য থেকে একেবারে ধ্বংস করা হবে।’
24. “এছাড়া নবী শামুয়েল থেকে শুরু করে যে সব নবীরা কোন কিছু বলে গেছেন তাঁরাও এই সময়ের কথা আগেই বলে গেছেন,
25. আর আপনারা তো সেই নবীদেরই বংশধর। আপনাদের পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহ্ যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন, আপনারা তো তারই ভাগীদার। আল্লাহ্ ইব্রাহিমকে এই কথা বলে সেই ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন, ‘তোমার বংশের মধ্য দিয়ে দুনিয়ার সমস্ত জাতিই দোয়া পাবে।’
26. আপনাদের প্রত্যেককে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে দোয়া করবার জন্যই আল্লাহ্ তাঁর গোলাম ঈসাকে ঠিক করে প্রথমে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।”