20. আপনাদের যাতে সাহায্য হয় এমন কোন কিছুই আমি আপনাদের কাছে না বলে চুপ করে থাকি নি, বরং বাইরে খোলাখুলিভাবে এবং আপনাদের ঘরে ঘরে শিক্ষা দিয়েছি ও তবলিগ করেছি।
21. ইহুদী ও গ্রীকদের কাছে আমি বিশেষ জোর দিয়ে জানিয়েছি যে, গুনাহ্ থেকে মন ফিরিয়ে আল্লাহ্র দিকে তাদের ফিরতে হবে এবং আমাদের হযরত ঈসার উপর ঈমান আনতে হবে।
22. “এখন আমি পাক-রূহের বাধ্য হয়ে জেরুজালেমে যাচ্ছি। সেখানে আমার উপর কি ঘটবে তা আমি জানি না।
23. আমি কেবল এই কথা জানি, পাক-রূহ্ প্রত্যেক শহরে আমাকে এই কথা জানিয়ে দিচ্ছেন যে, আমাকে জেল খাটতে ও কষ্ট পেতে হবে।
24. কিন্তু আমার কাছে আমার প্রাণের কোন দাম নেই। আমার একমাত্র ইচ্ছা এই, যেন আমি শেষ পর্যন্ত দৌড়াতে পারি, অর্থাৎ হযরত ঈসা যে কাজের ভার আমাকে দিয়েছেন তা শেষ করতে পারি। সেই কাজ হল আল্লাহ্র রহমতের সুসংবাদের বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়া।
25. “এখন আমি এই কথা জানি যে, আপনাদের যাঁদের কাছে আমি গিয়ে আল্লাহ্র রাজ্যের বিষয়ে তবলিগ করেছি তাঁদের কেউই আমাকে আর দেখতে পাবেন না।
26. সেইজন্য আজ আমি আপনাদের পরিষ্কার ভাবে বলছি, কারও রক্তের দায়ী আমি নই,
27. কারণ আল্লাহ্ কি চান তা আপনাদের জানাতে আমি কখনও পিছপা হই নি।
28. আপনারা নিজেদের সম্বন্ধে সতর্ক থাকুন, আর পাক-রূহ্ যে ঈমানদার দলের ভার পরিচালক হিসাবে আপনাদের উপর দিয়েছেন তাদের সম্বন্ধেও সতর্ক থাকুন। রাখাল যেমন তার ভেড়ার পালের দেখাশোনা করে ঠিক তেমনি করে আপনারাও ইমাম হিসাবে আল্লাহ্র জামাতের দেখাশোনা করুন। আল্লাহ্ সেই জামাতকে নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন।
29. আমি জানি যে, আমি চলে যাবার পর লোকেরা হিংস্র নেকড়ে বাঘের মত করে আপনাদের মধ্যে আসবে এবং ভেড়ার পালের ক্ষতি করবে।
30. এমন কি, আপনাদের নিজেদের মধ্য থেকে লোকেরা উঠে আল্লাহ্র সত্যকে মিথ্যা বানাবার চেষ্টা করবে যেন ঈমানদারদের নিজেদের দলে টানতে পারে।
31. এইজন্য আপনারা সাবধান থাকুন। মনে রাখবেন, তিন বছর ধরে দিনরাত চোখের পানির সংগে আমি আপনাদের প্রত্যেককে সাবধান করেছিলাম, কখনও চুপ করে থাকি নি।