9. একদিন রাতের বেলা প্রভু একটা দর্শনের মধ্য দিয়ে পৌলকে এই কথা বললেন, “ভয় কোরো না, কথা বলতে থাক, চুপ করে থেকো না;
10. কারণ আমি তোমার সংগে সংগে আছি। তোমাকে আক্রমণ করে কেউ তোমার ক্ষতি করবে না, কারণ এই শহরে আমার অনেক লোক আছে।”
11. এতে পৌল দেড় বছর সেই শহরে থেকে লোকদের আল্লাহ্র কালাম শিক্ষা দিলেন।
12. গাল্লিয়ো যখন আখায়া প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন তখন ইহুদীরা সবাই মিলে পৌলকে ধরে বিচারের জন্য আদালতে আনল।
13. তারা বলল, “এই লোকটা এমনভাবে আল্লাহ্র এবাদত করতে উস্কে দিচ্ছে যা শরীয়তের বিরুদ্ধে।”
14. পৌল কথা বলতে যাবেন এমন সময় গাল্লিয়ো ইহুদীদের বললেন, “ইহুদীরা, এটা যদি কোন অন্যায় বা ভীষণ কোন দোষের ব্যাপার হত তবে তোমাদের কথা শোনা আমার পক্ষে ঠিক কাজ হত।
15. কিন্তু এটা যখন বিশেষ কোন কথার ব্যাপার, কারও নামের ব্যাপার ও তোমাদের শরীয়তের ব্যাপার, তখন তোমরাই এর মীমাংসা কর। আমি ঐ সব ব্যাপারের বিচার করব না।”
16. এই কথা বলে তিনি আদালত থেকে তাদের বের করে দেবার হুকুম দিলেন।
17. তখন সেই ইহুদীরা সবাই মিলে মজলিস-খানার কর্তা সোসি'নীকে ধরে আদালতের সামনে মারধর করল; গাল্লিয়ো কিন্তু তা চেয়েও দেখলেন না।
18. বেশ কিছু দিন করিনে' কাটাবার পরে পৌল ঈমানদার ভাইদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন এবং আকিলা ও পিষ্কিল্লার সংগে সমুদ্রপথে সিরিয়া দেশে আসলেন। পৌল একটা মানত করেছিলেন বলে যাত্রা করবার আগে কিংক্রিয়া বন্দরে তাঁর মাথার চুল কেটে ফেলেছিলেন।
19. ইফিষ শহরে পৌঁছে তিনি প্রিষ্কিল্লা ও আকিলার সংগ ছাড়লেন। পরে তিনি নিজেই মজলিস-খানায় গিয়ে ইহুদীদের সংগে ঈসার বিষয় আলোচনা করতে লাগলেন।
20. ইহুদীরা তাঁকে তাদের সংগে কিছু দিন থাকতে বলল, কিন্তু তিনি রাজী হলেন না।
21. তবে সেখান থেকে চলে যাবার সময় তিনি বললেন, “ইন্শা-আল্লাহ্ আমি আবার ফিরে আসব।” তারপর তিনি ইফিষ থেকে জাহাজে করে রওনা হলেন।
22. তিনি সিজারিয়া শহরে পৌঁছে জাহাজ থেকে নেমে জেরুজালেমে গেলেন। সেখানে জামাতের লোকদের সালাম জানাবার পরে তিনি এণ্টিয়কে গেলেন।
23. এণ্টিয়কে কিছু দিন কাটাবার পর তিনি সেখান থেকে যাত্রা করলেন এবং গালাতিয়া ও ফরুগিয়া প্রদেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে ঘুরে উম্মতদের ঈমান বাড়িয়ে তাদের শক্তিশালী করে তুললেন।
24. এর মধ্যে আপল্লো নামে একজন ইহুদী ইফিষে আসলেন। আলেকজান্দ্রিয়া শহরে তাঁর বাড়ী ছিল। তিনি একজন ভাল বক্তা ছিলেন এবং পাক-কিতাব খুব ভাল করে জানতেন।
25. প্রভুর পথের বিষয় তিনি শিক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি খুব আগ্রহের সংগে কথা বলতেন এবং ঈসার বিষয় ঠিকভাবে শিক্ষা দিতেন, কিন্তু ইয়াহিয়ার তরিকাবন্দী ছাড়া আর কোন তরিকাবন্দীর কথা তিনি জানতেন না।